লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। কিন্তু তারপরেও কেন হোয়াটসঅ্যাপে 'বিকশিত ভারত'-এর মেসেজ পাঠানো হচ্ছে, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার ওই মেসেজ পাঠানো অবিলম্বে বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রককে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে হোয়াটসঅ্যাপে ওই মেসেজ পাঠানো হচ্ছে বলে বহু অভিযোগ এসেছে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রকের তরফে কমিশনকে জানানো হয় যে, আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগেই ওই মেসেজগুলি পাঠানো হয়েছে। প্রযুক্তিগত কারণেই দেরি করে ওই মেসেজগুলি যাচ্ছে।
ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরও কেন কেন্দ্রের ওই বার্তা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। এই মেসেজ তিনিও পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ওই মেসেজ অবিলম্বে পাঠানো বন্ধ করতে নির্দেশ দিল কমিশন।
গত শনিবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর ৭ দফায় ভোট হবে। ভোট গণনা ৪ জুন। প্রথম দফায় ভোট শুরু ১৯ এপ্রিল। শনিবার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি।
অন্য দিকে, গত সপ্তাহে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে দেশবাসীর উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীর উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতে ভারতের উন্নয়নের জন্য সকলের সমর্থন চেয়েছেন মোদী। সেই সঙ্গে গত ১০ বছরে তাঁর সরকারের নানা কথা তুলে ধরেছেন চিঠিতে। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে মোদীর এ হেন খোলা চিঠি আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। চিঠিতে দেশবাসীকে 'পরিবারের সদস্য' বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত দু'বারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাঁর সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেছেন চিঠিতে। চিঠিতে মোদী লিখেছেন, 'সাধারণ মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন ঘটেছে, তা গত ১০ বছরে আমাদের সরকারের বড় কৃতিত্ব। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। গরিব, কৃষক, যুবক, মহিলাদের জীবনধারা উন্নত হয়েছে।' এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছেন মোদী।