আজ লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ শুরু হতে না হতেই অশান্তি। ভোট শুরুর আধঘণ্টার মধ্যেই কুলতলিতে পুকুরে ভাসতে দেখা গেল ইভিএম, ভিভিপ্যাট। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ভোট দিতে বাধা দিচ্ছিল তৃণমূল কর্মীরা। এরপরেই তাঁরা রেগে যান। পাল্টা প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু করেন। এই উত্তেজনার মাঝেই গ্রামবাসীদের একাংশ EVM মেশিন পুকুরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
জয়নগর লোকসভার অন্তর্গত এলাকা কুলতলি। এদিন সকাল থেকেই সেখানে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ৪০ ও ৪১ নম্বর বুথের ঘটনা এটি। পুকুরে EVM ভাসার একটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে সংবাদসংস্থা।
দেখুন সেই ভিডিও:
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে ৭টার আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে লাইন দিতে যান গ্রামবাসীরা। সেই সময় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের বাধা দেয় বলে দাবি করা হচ্ছে। তখনই তার প্রতিবাদে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট নিয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in
সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৬টা থেকে মক পোলিং শুরু হয়। সেই সময় ছিলেন বিজেপি কর্মীরাও। তখনই তৃণমূল কর্মীরা মক পোলিংয়ে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ প্রতিবাদ করে বলে অভিযোগ। এরই মাঝে গ্রামবাসীদের একাংশ পুকুরে নিয়ে গিয়ে ইভিএম ফেলে দেয় বলে অভিযোগ।
যদিও এর ফলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনও বাধা আসবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এটি মক পোলিংয়ের অতিরিক্ত ইভিএম হওয়ায় মূল ভোটিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গাড়ির সামনে গাছ ফেলে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। এরপর সেখানে এসে পৌঁছায় কুইক রেসপন্স টিম। গ্রামবাসীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।