বাড়বাশীর মৃত বিজেপি কর্মী শান্তনু ঘোড়ইয়ের বাড়িতে গেলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী-সাংসদ দেবকে সরাসরি আক্রমণ হানলেন হিরণ। পদত্যাগের দাবি তুলে হিরণ বললেন, 'ওনাকে তো ফিল্ম জগতের সবাই সাপোর্ট করেন। মমতা ডাকলেই সবাই চলে যান। একবার গ্রাম বাংলায় এসে দেখুন কী অবস্থা। দেখছেন কি হচ্ছে?'
রবিবারই শান্তনুর বাড়িতে আসেন ঘাটালের লোকসভার বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শান্তনুর পরিবারের সদস্যরা। এরপরেই হিরণ দেবের পদত্যাগের দাবি তোলেন। সেই সঙ্গে এর সিবিআই তদন্তেরও দাবি তোলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'যত বড় বড় নেতা আছে এই জেলার, সবাইকে সিবিআই-এর জালে আমরা ধরব। বাংলার মা-বোনেরা লাঠি, ঝাঁটা হাতে নিয়ে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াক। না হলে এই দলদাস পুলিশকে আটকানো যাবে না।' হিরণ বলেন, 'দীপক অধিকারীর হাতে রক্ত। চিনুন আপনাদের ফিল্মস্টারকে। দেখুন কীভাবে বোমা-গুলি-খুনের রাজনীতি করেন।'
ঘাটাল লোকসভার বাড়বাশী এলাকায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া। পরিবার-পরিজনের অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ নাকচ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
রবিবার সকালে তদন্তের জন্য এলাকায় পুলিশ প্রবেশ করতেই তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিবারের সদস্য, বিজেপি কর্মীরা। জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের মাসখানেক আগে থেকে জোরকদমে সংগঠনের কাজে নেমে পড়েছিলেন শান্তনু। দেওয়াল লিখনের কাজ করতেন। এদিকে এই কারণে তিনি তৃণমূলের তরফে হুমকিও পান বলে অভিযোগ।
পরিবার-পরিজনের অভিযোগ, শাসক দলের রোষের শিকার হয়েছেন শান্তনু। সেই কারণেই তাঁকে হত্যা করে ধান খেতে দেহ ফেলে দিয়ে গেছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, দাবি পরিবারের।
শনিবার বাড়বাশীতে ধানজমি থেকে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করার আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা।