হুগলিতে এবার কি ফুল বদল? লোকসভা নির্বাচনের গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, এই প্রতিবেদন লেখার সময় হুগলিতে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১১টার ট্রেন্ড অনুযায়ী, ১৪ হাজার ৪৭৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন রচনা।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে পদ্মপ্রতীকে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন লকেট। যদিও ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে চুঁচুড়া কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলেন লকেট। এবার লকেটকে হারিয়ে হুগলি কেন্দ্র দখল আনতে তৃণমূলের বাজি 'দিদি নং ১' রচনা। গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, এগিয়ে রয়েছেন রচনা।
জয়ের ব্যাপারে দু'জনেই আত্মবিশ্বাসী। ভোটের ফল প্রসঙ্গে bangla.aajtak.in-এ রচনা বলেন, 'দেখা যাক কী হয়। কিছু ভাবছি না। যা পরিশ্রম করার, কাজ করার করেছি। এবার যা হওয়ার সেটাই হবে। যা হবে সেটা হাসিমুখে অ্যাকসেপ্ট করতে হবে। জেতাটাও হাসিমুখে অ্যাকসেপ্ট করব। হারাটাও হাসিমুখে অ্যাকসেপ্ট করব।' ভগবানে বিশ্বাসী রচনা। রেজাল্ট বেরোনের দিন কি বিশেষ কোনও পুজো করলেন? তৃণমূল প্রার্থীর জবাব, 'কোনও বিশেষ পুজো করিনি। ঠাকুর সবসময় সঙ্গে আছে। যেটা ভাল মনে করবে, সেটাই হবে।' অন্য দিকে, জয় নিয়ে আশাবাদী লকেটও। শেষ পর্যন্ত দুই দিদির লড়াইয়ে কার জিৎ হয়, তার জন্য অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার।
বুথফেরত সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ২৬-৩১টি আসন, তৃণমূল পেতে পারে ১১-১৪টি আসন। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২টি আসন। বিভিন্ন সংস্থা বুথ ফেরত সমীক্ষা চালায়। ভোটারদের মনোভাবের উপর ভিত্তি করে এই সমীক্ষা করা হয়। এক্সিট পোলের ফল দেখে ভোটের ফল নিয়ে মোটামুটি আন্দাজ পাওয়া যায়। তবে সবসময় যে এক্সিট পোলের গণনা একদম সঠিক হয়, তা কিন্তু নয়। অতীতে বহুবার দেখা গিয়েছে, এক্সিট পোলের ফলাফল বাস্তবে মেলেনি। তাই এক্সিট পোলের গণনা যে পুরোপুরি মিলে যাবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।