SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলা কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে, হাইকোর্টের রায়ে চাকরি বাতিল হওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি আপাতত বহাল থাকছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে 'সত্যের জয়' বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'কী রায় হয় তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম'
আজ অর্থাত্ বুধবার আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের সমর্থনে সভায় SSC রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'বিজেপি চাকরিখেকো বাঘ। ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল। বেতন ফেরত দিতে বলল। আমি সে দিন থেকে বলেছিলাম, চিন্তা করবেন না। পাশে আছি। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে মিছিল করছিলাম। মনটা পড়ে ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কী রায় হয় তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। রায় শুনে মনটা স্নিগ্ধ, তৃপ্ত হয়ে গেল। আত্মার শান্তি পেয়ে গেল। আমি বললাম, সত্যের জয় হবেই। এরা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়। এরা মানুষ নয়, দানব।'
এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না
SSC নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যার জেরে চাকরি বাতিল হয়ে যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। এঁদের মধ্যে ২৪ হাজার শিক্ষক। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য। সেই মামলারই শুনানিতে অন্তর্বর্তী নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জানান, এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না। যদি যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়, তা হলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না।
একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আপাতত কাউকে বেতন ফেরত দিতে হবে না। তবে এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের মুচলেকা দিতে হবে। পরে তাঁদের নিয়োগ ‘অবৈধ’ বলে প্রমাণিত হলে অযোগ্যদের টাকা ফেরত দিতে হবে। ১৬ জুলাই এই মামলার চূড়ান্ত নির্দেশ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
'সিপিএমের হার্মাদেরাই এখন বিজেপির হার্মাদ'
এদিন মমতা বিজেপি ও সিপিআইএম-কে একযোগে আক্রমণ করে বলেন, 'সিপিএমের হার্মাদেরাই এখন বিজেপির হার্মাদ হয়েছে। আমার থেকে ভাল ওদের আর কেউ চেনে না। গড়বেতা থেকে আরামবাগ পর্যন্ত সিপিএম মাটির নীচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রেখেছিল। মানুষ খুন করে সেখানে ফেলে দিত। আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যেত না।'