লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম এবং চূড়ান্ত দফার ভোটের প্রচার শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সপ্তম তথা শেষ দফায় ৭টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৫৭টি লোকসভা আসনে ভোট হবে ১ জুন। উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের ১৩টি আসন, পশ্চিমবঙ্গের ৯টি, বিহারের ৮টি আসন, ওড়িশায় ৬টি, হিমাচল প্রদেশের ৪টি, ঝাড়খণ্ডের ৩টি এবং চণ্ডীগড় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে। এই পর্বে মোট ৯০৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একই সঙ্গে ১ জুন ওড়িশার বিধানসভা আসনেও ভোট হবে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন রাজ্যে ছুটেছেন। প্রধানমন্ত্রী এই বছরের ১৬ মার্চ কন্যাকুমারী থেকে লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রচার শুরু করেছিলেন। এই ৭৫ দিনে ২০০টিরও বেশি নির্বাচনী প্রচার অনুষ্ঠান করেছেন। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৩০ মে তাঁর নির্বাচনী প্রচার শেষ করেছেন। তবে বাংলায় ২৯ মে মথুরাপুরে শেষ জনসভা করেছেন। আগের দিন রাতেই তিনি কলকাতায় রোড শো করেন। সেখানে বিজেপি কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে। বাংলায় মোদী মোট ২২টি জনসভা করেছেন। আর একটি রোড শো করেছেন। অবশ্য তার আগে মার্চ থেকেই বাংলায় বেশ কিছু রাজনৈতিক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন মোদী।
কয়েকটি প্রধান রাজ্য যেখানে তিনি বেশিরভাগ রোড শো এবং সমাবেশ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র এবং ওড়িশা। উত্তরপ্রদেশে মোদী ৩১টি নির্বাচন সংক্রান্ত জনসভা ও রোড শো-তে অংশ নিয়েছেন। এরপরে আছে মহারাষ্ট্র এবং বিহারও। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ করার পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর ১ জুন তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে যাওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে তিনি বিখ্যাত বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল পরিদর্শন করবেন। সেখানেই ওইদিন ধ্যানে বসবেন। অন্যদিকে, অমিত শাহ বাংলায় ১৮টি জনসভা করেছেন।
তবে শুধুমাত্র বাংলা হিসেবে ধরলে, এক্ষেত্রে মোদীকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে বাংলা চষে ফেলেছেন। তিনি ১০৭টি জনসভা ও রোড শো করেছেন। ৩০ মে শেষ দিনের প্রচারে যাদবপুর কেন্দ্র ও দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের প্রার্থীর জন্য পদযাত্রা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মিছিলে তাঁর সঙ্গে পা মেলান যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ ও কলকাতা দক্ষিণের প্রার্থী মালা রায়।