লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিন মালদা উত্তরে সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মালদার নিত্যানন্দপুরে আজ তিনি সভা করেন। মালদা উত্তর ও দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের দুই বিজেপি প্রার্থী যথাক্রমে খগেন মুর্মু ও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সমর্থনে সভা হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মালদা উত্তর আসনটি বিজেপির ঝুলিতে যায। তৃণমূল প্রার্থীর থেকে খুবই কম ব্যবধাতে জেতেন খগেন মুর্মু। তাঁর মোট প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫ লক্ষ ৯ হাজার ৫২৪ ।
অন্যদিকে ৪ লক্ষ ২৫ হাজার ২৩৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূলের মৌসম নূর। এবার এই কেন্দ্রে জয়ের মার্জিন আরও বাড়ানোর টার্গেট নিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে মালদা দক্ষিণে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তবে এই কেন্দ্রে জিততে পারেননি তিনি। নিজেদের গড় ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। এবারও শ্রীরূপাকেই প্রার্থী করা হয়েছে।
মোদীর ভাষণ একনজরে
কংগ্রেস আপনাদের সম্পত্তিতে ট্যাক্স লাগানোর পরিকল্পনা করেছে। কংগ্রেস এসসি ও এসটি সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কংগ্রেস পুরো দেশে মহিলাদের মঙ্গলসূত্র এবং আদিবাসীদের গয়নার হিসাব করবে। কংগ্রেস একটা এক্সরে মেশিন নিয়ে এসেছে। মানুষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেবে। সেই সম্পত্তি নিজেদের ভোটব্যাঙ্কগুলিকে দেবে। তৃণমূল কিন্তু এর বিপক্ষে কোনও কথা বলছে না। সমর্থন করছে। তুষ্ঠীকরণের প্রতিযোগিতা চলছে ওদের মধ্যে। তৃণমূল সরকার বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাচ্ছে।
তৃণমূল ও কংগ্রেস বলছে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাবে। ওরা তুষ্টিকরণ ছাড়া কিছুই বোঝে না। ওরা বলছে সিএএ তুলে দেবে। সিএএ নাগরিকত্ব নেওয়ার নয়, দেওয়ার আইন।
সন্দেশখালি মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে। মালদাতেও মহিলাদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সরকার অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তৃণমূল।
বাংলার কৃষকদের জন্য পিএম কিষাণ যোজনায় ৮ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছে। তৃণমূল সরকার সেই টাকা কৃষকদের হাতে পৌঁছাতে দিচ্ছে না। তৃণমূলের নেতারা প্রকল্পের টাকা নিয়ে নেয়। তৃণমূল সরকার আয়ুষ্মান যোজনা বন্ধ করে রেখেছে। তৃণমূল চায় বাংলায় বন্দে ভারত ট্রেনও বন্ধ হয়ে যাক। মানুষের সমস্যা ও চিন্তা নিয়ে ওদের কিছু যায় আসে না। ওরা খালি ভাবে কী করে কাটমানি পাব।
আপনাদের ভালবাসা দেখে মনে হয় আমি আগের জন্মে বাংলায় জন্মেছিলাম। আপনারাদের ভালবাসা দেখে আমি আপ্লত। হয় আমি আগের জন্মে বাংলায় জন্মেছিলাম, নয়তো পরের জন্মে বাংলায় জন্মাব।
বাংলা স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির ভূমি। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলার উন্নয়নে কাজ করছে। আপনাদের ফ্রিতে রেশন মিলছে।
২৬ হাজার পরিবারের রুটি-রুজি শেষ হয়ে গিয়েছে। ঋণ নিয়ে তৃণমূলের লোকজনকে টাকা দিয়েছিল। যুব সমাজের উন্নতির সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। দুর্নীতি করছে তৃণমূল, আর ভুগতে হচ্ছে জনগণকে।
মালদা উত্তর বলছে, আবার একবার মোদী সরকার। একটা সময় ছিল যখন বাংলা পুরো দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিত। জীবনের সব ক্ষেত্রেই বাংলার নেতৃত্ব দিত। প্রথমে বাম, পরে তৃণমূল বাংলার এই সম্মানে আঘাত করেছে, ধ্বংস করছে। তৃণমূলের আমলে বাংলায় একটাই জিনিস চলে,সেটা হল ১০০০ হাজার কোটির স্ক্যাম, সারদা, রোজভ্যালি-সহ নানা স্ক্যাম। বাংলায় কোনও কাজ কাটমানি ও কমিশন ছাড়া হয় না।
আজ দেশে যেখানে যেখানে ভোট চলছে, সেখানার সব লোকের কাছে আবেদন করছি, ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য। আর সেটা করা উচিতও।
সভায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী