সাত দফাতেই লোকসভা ভোট হবে। শুরু ১৯ এপ্রিল। ফল প্রকাশ হবে ৪ জুন। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হবে সিকিম, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে। শনিবার দুপুরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অন্ধ্রে বিধানসভার ভোট হবে ১৩ মে, অরুণাচলে হবে ১৯ এপ্রিল। একইসঙ্গে ২৬ বিধানসভার উপনির্বাচনও লোকসভা ভোটের সঙ্গেই হবে।
দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফায় ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট হবে ১ জুন। একদফায় নির্বাচন রয়েছে অরুণাচলপ্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ, অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, দাদর ও নগর হাভেলি, দিল্লি, গোয়া, গুজরাত, হিমাচলপ্রদেশ, হরিয়ানা, কেরল, লক্ষদ্বীপ, লাদাখ, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, পন্ডিচেরী, সিকিম, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, তেলঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ডে।
দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন রয়েছে কর্নাটক, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মণিপুরে। তৃতীয় দফায় নির্বাচন ছত্তীসগঢ়, অসমে। চতুর্থ দফায় ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন রয়েছে। পঞ্চম দফায় নির্বাচন মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীরে। সপ্তম দফায় নির্বাচন উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গে। সেইসঙ্গে, এদিন থেকেই চালু হয়ে গেল আদর্শ আচরণবিধি। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে। সমচোখে দেখতে হবে সকল রাজনৈতিক দলকে এবং মাঠে নেমে কাজ করতে হবে। নিচুতলা পর্যন্ত অফিসাররাও যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন, তার নিশ্চয়তা তৈরি করতে হবে আধিকারিকদের। ভোটার কিংবা প্রার্থীদের কাছে যেন কোনও হুমকি-সতর্কতা না পৌঁছায়।
উল্লেখ্য, ভারতের ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি জয়লাভ করেছিল। মোট ৫৪২টি প্রতিদ্বন্দ্বিত আসনের মধ্যে ৩০৩টি আসন জিতেছিল। দলের পারফরম্যান্স ছিল উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যেখানে তারা ৮০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসন জিতে দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে তাদের অবস্থানকে দৃঢ় করেছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস টানা দ্বিতীয়বারের মতো তিক্ত পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিল এবং মাত্র ৫২ আসনে নেমে আসে। এবার কংগ্রেস ইন্ডিয়া বিরোধী ব্লকের অংশ। যদিও এটি দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট এবং তামিলনাড়ুতে আসন ভাগাভাগি চুক্তি করেছে। মহারাষ্ট্রের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে আসন ভাগাভাগি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।