বাংলার জন্য দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে আসন বদল হয়েছে দিলীপ ঘোষের। মেদিনীপুরের চেনা ময়দান থেকে সরিয়ে তাঁকে রাঢ়বঙ্গের কঠিন পিচে পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন মদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ। বর্ধমান-দুর্গাপুরে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে দিলীপকে। এই নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, 'কার কেন্দ্র কোথায়? যেখান থেকে আমি লড়বো, সেটাই আমার কেন্দ্র, সেখান থেকেই জিতবো। পার্টি এটা জানে। তাই পার্টির প্রয়োজনে আমি ওখানে গেছি। ভারতীয় জনতা পার্টিকে আমি গ্রামে গঞ্জে নিয়ে গেছি। পার্টি আমাকে নির্বাচন লড়তে বলেছে, আমি লড়েছি। এখন যেখানে বলেছে সেখান থেকে লড়ছি। আজকে সারা পশ্চিমবাংলায় যে কোন আসনে আমরা জিততে পারি। আর সেটা দেখিয়েছি করে। এবারো সেটা হবে। তাই পার্টির যখন যাকে মনে হয়েছে যেখানে প্রজেক্ট করার, তাকে সেখানে দিয়েছে। সমস্ত কর্মীরা, সমস্ত প্রার্থীরা নরেন্দ্র মোদীকে জেতানোর জন্য লড়াই করবেন। পশ্চিমবঙ্গের জনতা সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে, বিজেপিকে জেতাবার জন্য।'
এবারে মেদিনীপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে। তার বিদায়ী আসনে অগ্নিমিত্রাকে প্রার্থী করা নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন সহসভাপতির বক্তব্য, 'অগ্নিমিত্রা গতকাল আমার বাড়িতে এসেছিল, প্রণাম করতে, আশীর্বাদ নিতে, ওখানকার ব্যাপারে সবকিছু জানতে। কথা হয়েছে।' সদ্য বিজেপিতে আসা নেতাদের নিজের পছন্দের টিকিট পাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'আমি জানিনা কে কার পছন্দের টিকিট পেয়েছে। আমি পার্টির পছন্দে টিকিট পেয়েছি।'
এবার বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এই নিয়ে দিলীপের বক্তব্য, 'ওখানে ট্রাইবাল ভোট আছে। ওখানকার আদিবাসীরা সার্বিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে। ওখানে বহু বছর ধরে যারা অত্যাচারিত, তাদের মুখ হিসেবে রেখা পাত্র উঠে এসেছে। আমার মনে হয় বসিরহাটের মানুষ যে অত্যাচার সহ্য করছেন তার প্রতিবাদ হিসেবে রেখা পাত্রকে জেতাবেন।'
ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী ঘোষণা না হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'কারণ তো কিছু না কিছু রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার শেষে ভোট। আর দেড় মাস পরে ভোট। যোগ্য প্রার্থী পাননি হয়তো এখনো। পার্টি দেখে নিচ্ছে, যাকে জিততে পারে মনে হবে। এখনো অনেক লোক আসছে, অনেক নাম আসছে চর্চা চলছে।' বিজেপিকর্মীদের আক্রান্ত হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক নির্বাচনে হিংসা হয়, এটা সবাই জানে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার আগেই ১০০ কোম্পানি আধা সেনা পাঠিয়ে দিয়েছে। আরো আসছে। পশ্চিমবাংলায় ভোটে হিংসা হবে এটা ধরে নিয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। যত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে টিএমসির টেনশন বাড়ছে, কারণ তারা হিংসার দ্বারা জিততে চাইছে।'
ক্যানিং বিজেপির মন্ডল সভাপতি আক্রান্ত হওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, 'প্রার্থীরাও আক্রান্ত হতে পারে। বিধানসভায়, লোকসভায় দেখেছি আমরা। আমরা আক্রান্ত হয়েছি। টিএমসির নেতারা, এমএলএরা, মন্ত্রীরা যে ধরনের স্টেটমেন্ট দিতে শুরু করেছে তাতে প্রোভোক করা হচ্ছে । আমার মনে হয় এটাই টিএমসির পতনের কারণ হবে।' নিজের নতুন লোকসভা কেন্দ্রে যাওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'আমি আজ দশটার সময় শক্তিগড়ে, আমার কেন্দ্রের সীমায় গিয়ে পৌঁছবো। কর্মীরা অপেক্ষা করছে। ওখান থেকেই শুরু হবে। বর্ধমানে যাব । দুর্গাপুরে গিয়ে হোলি খেলব।'