রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে আশাভঙ্গ হয়েছে বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং-এর। তাঁর বদলে বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী করেছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলের প্রতি বারংবার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অর্জুন। কুরুক্ষেত্রর যুদ্ধের মতো ব্যারাকপুরের ‘যুদ্ধক্ষেত্রেও’ দুটো নামই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জুন এবং পার্থ (যা কৃষ্ণের আরও এক নাম)। ইতিমধ্যেই অর্জুন সিং-এর অফিস থেকে সরেছে মমতা ও অভিষেকের ছবি। জায়গা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি কি ক্রমেই পদ্মমুখী হচ্ছেন? এই নিয়ে ইঙ্গিতও দিয়েছেন বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ। বিজেপিতে অর্জুনের যোগাদানের জল্পনার মধ্যেই তাঁর সংসদীয় এলাকা বারাকপুরে পোস্টার পড়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে 'বিজেপিতে দলবদলুর স্থান নেই।' কার বিরুদ্ধে এই পোস্টার তা কিন্তু লেখা হয়নি। তবে, রাজনৈতিক মহলের ইঙ্গিত এই পোস্টার অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধেই। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।এই ঘটনায় তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককেই নিশানা করেছেন অর্জুন।
পোস্টার নিয়ে অর্জুনের বক্তব্য, বিজেপি এমন একটা দল যারা এমনটা করতেই পারে না। পার্থ ভৌমিক করিয়েছে। নিজে টিকিট না পাওয়ার জন্য এদিনও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন অর্জুন। তাঁর বক্তব্য, স্ক্রিপ্ট করে গোটা বিষয়টি করান হয়েছে। তিনি বারাকপুরে প্রার্থী হলে গতবারের থেকে বেশি ভোটে জিতবেন এমন চ্যালেঞ্জও করেছেন। অর্জুন সিং-এর কথা, লোকসবা ও বিধানসভায় তফাত আছে, লোকসভায় লোকে মোদীকে দেখেই ভোট দেবেন। নিশিনা করেছেন বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককেও। অর্জুনের বক্তব্য, পার্থ ভৌমিক কখনও কারও ভাল করেননি। সবারই পিছনে কাঠি দিয়েছেন। আমি ৩৬৫ দিনই ভোট করি। এয়ার কন্ডিশন ঘরে, সংসদীয় রাজনীতি করি না।
প্রসঙ্গত, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বারাকপুরের বর্তমান সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। জোড়াফুলের পাট চুকিয়ে ফের গেরুয়া শিবিরে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন অর্জুন। মঙ্গলবার সকালেই নিজের দফতর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নামিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ছবি টাঙিয়ে ফেলেছেন তিনি। এদিকে বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক মঙ্গলবারই অর্জুন সিং-কে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর বক্তব্য , বার বার দল বদলালে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে পারেন অর্জুন সিং, যা তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রভাব ফেলতে পারে।