লোকসভা নির্বাচনের অন্তিম দফার আগেই মহাত্মা গান্ধী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। কংগ্রেস প্রধান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, সিনেমা দেখে তিনি গান্ধীর বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন। হাসি পায়, গান্ধীজিকে গোটা দুনিয়া চেনে। রাষ্ট্র সঙ্ঘ থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই তিনি। গান্ধীজি এই বিশ্ববাসীর কাছে অনুপ্রেরণা। মোদীজি মহাত্মা গান্ধীর বিষয়ে যদি না জানেন, তবে তিনি সংবিধানের বিষয়েও কিছু জানেন না।'
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, 'মহাত্মা গান্ধীর বিষয়ে সিনেমা তৈরি হওয়ার পর বিশ্বের সবাই তাঁর বিষয়ে জানতে পারেন।' সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়। তুমুল সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা।
তিনি আরও বলেন, 'এবারের নির্বাচন বহুদিন মনে রাখা হবে। গোটা দেশ জাত-পাত, ধর্ম, শ্রেণী বর্জন করে সংবিধান রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। আমরা ইস্যুর ভিত্তিতে ভোট চেয়েছি। পিএম মোদী ১৫ দিনের ভাষণে ২৩২ বার কংগ্রেসের নাম নিয়েছেন। ৭০০ বার মোদীর নাম নিয়েছেন, ৫৭৩ বার ইন্ডিয়া জোটের নাম নিয়েছেন। কিন্তু ভাষণে বেকারত্ব শব্দটি একবারও ব্যবহার করেননি। প্রধানমন্ত্রী ৪২১ বার মন্দির-মসজিদের বিষয়ে বলেছেন এবং ২২৪ বার পাকিস্তানের বিষয়ে কথা বলেছেন।'
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও একটি ভিডিও শেয়ার করেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
রাহুল বলেন, 'ওরা গান্ধীজিকে বোঝেন না, ওরা গডসেকে বোঝেন আর গডসে রাস্তাতে চলেন। গান্ধীজি গোটা দুনিয়ার কাছে প্রেরণামূলক। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, নেলসন ম্যান্ডেলা, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন- এঁরা সকলেই গান্ধীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত। ভারতের কোটি কোটি মানুষ গান্ধীজির দেখানো পথে চলেন। অহিংসা আর সত্যের রাস্তায় চলেন। লড়াইটা সত্য-অসত্য, হিংসা আর অহিংসার মধ্যে। হিংসা আর মিথ্যাকেই বোঝেন যাঁরা, তাঁরা অহিংসা আর সত্যকে বুঝতে পারেন না।'