'বাঙালি হিন্দু আর মুসলিম এক হলে ৭০ শতাংশ ভোট'। অসমের শিলচরের সভায় গিয়ে একথা মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিশ্রুতি দিলেন, তৃণমূল সরকারে এলে সিএএ, এনআরসি বাতিল করবেন। সেই সঙ্গে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও কার্যকর হতে দেবেন না।
অসমে ৪টি লোকসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শিলচরে রাধেশ্যাম বিশ্বাস দাঁড়িয়েছেন ঘাসফুলের টিকিটে। রাধেশ্যামের প্রচারে এ দিন শিলচরের সভায় মমত বলেন,'অসমে বাঙালি হিন্দু আর মুসলিম ভোট ৭০ শতাংশ। আর অসমিয়া ভোট ৩০ শতাংশ। সবাই মিলে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে হবে। রাধেশ্যামবাবুকে আপনারা জেতান'। সেই সঙ্গে এও জানিয়ে দেন, অসমে বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর কথায়,'অসমে ট্রায়াল দিতে এলাম। ফাইনাল খেলতে আসব আবার'।
মমতা প্রতিশ্রুতি দেন,'আমরা জিতলে এনআরসি, সিএএ হবে না। সব তুলে দেব। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হবে না। যারা ডি-ভোটার তালিকায় আছেন, তাঁদের নামও প্রত্যাহার করে দেব। আপনাদের হয়ে বাংলায় আন্দোলন করেছি বলে আমার বিরুদ্ধে অসমে এফআইআর করেছিল। আমি ভুলিনি ৬-৭টা মামলা করেছিল! কী করবে, গলা কাটবে? তোমরা ভারতকে ডিটেনশন ক্যাম্প বানিয়ে দিয়েছো। এই নির্বাচন ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। এত কলুষিত নির্বাচন আগে কখনও দেখিনি। সরকার চলছে এজেন্সি দিয়ে। সব মিডিয়ায় দেখবেন বাবুদের বড় বড় ছবি, বিজ্ঞাপন। কোনওদিন খোঁজ নিতে আসে না। ১০ লক্ষ শূন্যপদ পড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে'।
মমতা আরও বলেন,'আজকের দিনে (রাম নবমী) ওদের দাঙ্গা করার পরিকল্পনা আছে। দাঙ্গা করে ভোটে ফায়দা লুঠতে চায় না। দাঙ্গা ছাড়া কোনও গ্যারান্টি নেই। সংখ্যালঘু, বাঙালি, রাজবংশী, আদিবাসী থেকে দলিতদের উপর অত্যাচার করে।মণিপুরের চার্চ, মসজিদ জ্বালিয়ে দিয়েছে। আজও মেয়েরা সুবিচার চেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মোদী কারও জন্য কিছু করবে, এটা বিশ্বাস করবেন না। এই সরকার দাঙ্গাবাজ, লুঠেরা, জুমলাবাজ'।
তৃণমূল নেত্রীর বার্তা,'একবার জোট বাঁধুন। জোট মানে তৃণমূল। আমরাই ইন্ডিয়াকে পথ দেখাব। বাংলায় কংগ্রেস ও সিপিএম নেই। ওরা বিজেপিকে সমর্থন করে ওখানে। এবার মোদী জিতে গেলে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না। আর নির্বাচন হবে না। গণতন্ত্রকে বেচে দিয়েছে। জনতার জন্য কিছুই করেনি। আমরা লড়তে পারি, আপনারা পারবেন না কেন! অসমে ট্রায়াল দিতে এলাম। ফাইনাল খেলতে আসব আবার'।