Mamata Banerjee on Sandeshkhali Win: বিপুল জয়ের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি বিতর্কিত সন্দেশখালির বসিরহাট আসনেও 'আউট' বিজেপি। মঙ্গলবার, সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালি নিয়ে নিশানা করলেন বিজেপিকে। এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, "যে সন্দেশখালি নিয়ে কুৎসা, অপপ্রচার, আমার মা-বোনেদের অসম্মান করেছে, সেই সন্দেশখালিতেও আমরা জিতেছি। সন্দেশখালির মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। যে বুথে চক্রান্ত করেছিল সেই বুথেও জিতেছে। এই সিটে ২ লক্ষ ভোটে জিতেছি। মানুষই শেষ কথা বলে। বাংলার মানুষ বাংলার মেয়েকে সম্মা দিয়েছে, আমি সম্মানিত।"
বিজেপির রেখা পাত্রকে হারিয়ে তৃণমূলের নুরুল ইসলাম জয়লাভ করেন। ৩,১৬,৮৩৭টি ভোটে এগিয়ে যান নুরুল ইসলাম। ফল গণনার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূল প্রার্থী নুরুল ইসলাম এগিয়ে যান। রেখা পাত্রকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পিছুয়ে দেন। শেষমেশ হার হয় মোদীর 'শক্তি স্বরূপা' রেখা তথা সন্দেশখালি অন্যতম আন্দেলকারী।
বসিরহাট কেন্দ্রে এবার নুরুল ইসলামকে প্রার্থী করে তৃণমূল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে সকলের নজর ছিল বিতর্কিত কেন্দ্র বসিরহাটের সন্দেশখালি। ১ জুন বসিরহাট কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। উত্তর ২৪ পরগনার এই জেলা জাতীয় রাজনীতির অন্যতম চর্চিত কেন্দ্র। শাহজাহান শেখের নিঁখোজ থাকা, গ্রামবাসীদের ওপর অত্যাচার, দুর্নীতি, তারপর গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে এখনও হাওয়া গরম ছিল সন্দেশখালির। এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। তবে এবারে তাঁকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। পুরনো প্রার্থী নুরুল ইসলামকে পুনরায় টিকিট দেন।
প্রসঙ্গত, শেষ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ ৭ লাখ ৮২ হাজার ভোট পেয়ে বসিরহাট থেকে সাংসদ হন নুসরত। ক্ষমতা বাড়ায় বিজেপিও। বিজেপির প্রার্থী সায়ন্তন বসু পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ভোট। কংগ্রেসের কাজি আব্দুর রহিম পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। সিপিআই প্রার্থী পল্লব সেনগুপ্ত পেয়েছিলেন ৬৮ হাজার ভোট।