রামকৃষ্ণ, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ও ইসকনের বিরুদ্ধে সরাসরি রাজনীতির অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর সেই অভিযোগের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুরুলিয়ার সভা মোদী দাবি করলেন, ভোটব্যাঙ্ক খুশি করতেই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীদের ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন মোদী বলেন,'স্বামী বিবেকানন্দ বিদেশের মাটিতে গিয়েছিলেন, তখন লাখো লোক তাঁর ভক্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে একটা অংশের ভারতের প্রতি বিদ্বেষ ছিল। তারা বিবেকানন্দকে ধমকানোর চেষ্টা করেছিল। আজ এমনটাই হচ্ছে বাংলার মাটিতে। নির্বাচনে বাংলার লোকেদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তৃণমূল সরকার এবার সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। দেশ আর দুনিয়ায় সেবাকাজের জন্য পরিচিত ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসীদের প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে ধমকাচ্ছেন'।
মোদী আরও বলেন,'দুনিয়াজুড়ে এই মিশনগুলির সঙ্গে জড়িত প্রচুর ভক্ত থাকেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য মানুষের সেবা করা। নাম নিয়ে ধমকাচ্ছেন। এতটা হিম্মত কারণ ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে চাইছে তৃণমূল! লাখো মানুষের আবেগের গুরুত্ব নেই। স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রীল প্রভুপাদ এবং স্বামী প্রণবানন্দের মতো আধ্যাত্মিক গুরুদের অপমান দেশ সহ্য করবে না। সাধুসন্তদের প্রতি কোনও সম্মান নেই তৃণমূল। এমন শাস্তি দিন যাতে কখনও যেন সন্ত, মহাপুরুষদের অপমান করতে না পারে'।
কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
শনিবার আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের সমর্থনে গোঘাটের সভায় মমতা বলেছিলেন,'সব সাধু তো সমান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যে কি সবাই সমান? বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেকদিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে আছেন। যে লোকটা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলতে পারি না। কারণ তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছেন। আসানসোলের একটা রামকৃষ্ণ মিশন আছে। আমি রামকৃষ্ণ মিশনকে সাহায্য করেছি। সিপিএম খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। ইসকনকে ৭০০ একর জমি দিয়েছি। ইসকনের একটি মিশন আর মন্দির আছে। দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলো। সাধুসন্তরা কেন এ কাজ করবে? রামকৃষ্ণ মিশনে একটি হোয়াটসঅ্যাপগ্রুপ আছে। অন্যকে কেন ভোট দিতে বলব? কেউ কেউ সীমা অতিক্রম করছেন। সবাই নয়। স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না, যদি আপনাদের এই মেয়েটা না থাকত'।