রাম নবমীর উৎসব উদযাপন পণ্ড করতে ষড়যন্ত্র করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সত্যের জয় হয়। আদালত রাম নবমী পালনের অনুমতি দিয়েছে। মঙ্গলবার বালুরঘাটের সভা থেকে এভাবেই রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা মেরুকরণের কৌশল বলে দাবি তৃণমূলের।
এ দিন মোদী বলেন,'নবরাত্রির পবিত্র দিনে বালুরঘাটের এই ভূমি থেকে মা বোল্লাকালীকে প্রণাম করছি। আজ মহাষ্টমী। আগামিকাল গোটা দেশ রাম নবমী উদযাপন করতে চলেছে। এবার রাম নবমী, বাংলা নববর্ষ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটাই প্রথম রাম নবমী যখন অযোধ্যার পবিত্র রাম মন্দিরে রামলালা বিরাজমান হয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল রাম নবমীর উৎসব আটকানোর চেষ্টা করেছে। ষড়যন্ত্র করেছে তারা। কিন্তু সত্যেরই জয় হয়েছে। আগামিকাল ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে রাম নবমীর শোভাযাত্রা বের হবে। এ জন্য আদালত থেকে অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। বাংলার সব ভাইবোনেদের অভিনন্দন জানাই'।
রাম নবমীর দিন বিজেপি অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করতে পারে বলে অভিযোগ করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বার্তা দিয়েছিলেন,'আমি সংখ্যালঘু ভাইবোনদের বলব, যদি দেখেন শ্লোগান দিচ্ছে, ১৭ তারিখ, ওটা ওদের দাঙ্গা করার দিন। আমি মনে করি, ওটা মানুষের সম্মানের দিন হোক। ঐক্যের দিন হোক। গালাগালি দিলে মাথা ঠান্ডা করেও আল্লার নামে প্রে করবেন। কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমাদের শান্তিরক্ষা করতে হবে। ওরা চায় দাঙ্গা করে NIA ঢুকিয়ে দিয়ে ভোটটা যাতে না হয়। আর ভোটটা যাতে ওরা ছাপ্পা মেরে দেয়।'
বলে রাখি, হাওড়ায় শর্তসাপেক্ষে রাম নবমীর অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গতবছর ওই এলাকায় অশান্তির ঘটনা এবং পরে এনআইএ তদন্তের কথা মনে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বছর মিছিলের পথবদল করতে বলেছিল পুলিশ। অঞ্জনি পুত্র সেনা-সহ আরও একটি সংগঠন দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মিছিলের অনুমতি দিয়ে জানিয়ে দেয়,২০০ জনকে নিয়ে মিছিল করতে হবে। তার বেশি লোক নিলে দায় হবে আয়োজকদের। অস্ত্র এবং ডিজে ব্যবহার করা যাবে না। চাইলে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে পারে বলেও জানিয়েছে আদালত।