PM Modi Jagannath Puri: সোমবার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট। আর সেইদিনই সকাল সকাল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করতেও ছাড়লেন না। রত্ন ভান্ডারের চাবি হারিয়ে যাওয়া নিয়ে ওড়িশার ক্ষমতাসীন বিজেডি সরকারকে আক্রমণ করেন। নবীন পট্টনায়েকের দলের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, BJD শাসনে এই মন্দিরের কোনও নিরাপত্তা নেই।
আঙ্গুলে(Angul) এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'বিজেডি শাসনে পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিরাপদ নয়। 'রত্ন ভান্ডারে'র চাবি গত ৬ বছর পাওয়া যাচ্ছে না।'
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডার
ওড়িশার জগন্নাথ মন্দিরের ধর্মীয় তাৎপর্য কারও অজানা নয়। জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডার নিয়েও ওড়িশার মানুষের আবেগ রয়েছে।
এই রত্ন ভান্ডারে বিগ্রহের জন্য নিবেদিত বহু মূল্যবান অলঙ্কার রয়েছে। জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার উদ্দেশে এই অলঙ্কার গুলি নিবেদিত। আজকের নয়, যুগ-যুগ ধরে ভক্তকূল এবং একসময়ে রাজা-মহারাজারাও এই রত্ন ভাণ্ডার অবদান করেছেন। শেষবার ১৪ জুলাই, ১৯৮৫ সালে খোলা হয়েছিল এই ভাণ্ডার।
২০১৮ সালে, ওড়িশা হাইকোর্ট সরকারকে এই রত্ন ভাণ্ডার পরিদর্শনের জন্য চেম্বার খোলার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই চেম্বারের চাবি পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে রাজ্যব্যাপী তীব্র ক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
'পুরীতে মহাপ্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা করেছি। আমাদের মাথায় যেন সবর্দা তাঁর আশীর্বাদ থাকে এবং আমাদেরকে অগ্রগতির এক নতুন উচ্চতায় তিনি নিয়ে যান,' টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপরে তিনি মার্চিকোট চক থেকে পুরীর মেডিকেল স্কোয়ার পর্যন্ত একটি বিশাল দুই কিলোমিটার জুড়ে রোড শো করেন। বিজেপির পুরী লোকসভা প্রার্থী সম্বিত পাত্র এবং রাজ্য সভাপতি মনমোহন সামল তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ দিনে এটিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয়বার ওড়িশা সফর। একসময় এই বিজেপি-বিজেডি একসঙ্গে লড়ত। ২০০৯ সালে বিজেপি এবং বিজেডির সেই পার্টনারশিপ ভেঙে যায়। তার আগে নয় বছর জোটবদ্ধভাবে তারা ওড়িশায় ক্ষমতায় ছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এর আগে সরাসরি বিজেডি সরকারের সমালোচনা সেভাবে করেননি বললেই চলে। তবে সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটের প্রচারে বেশ কয়েকবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে আক্রমণ করেছেন।
এর আগে ১১ মে-এর সমাবেশেও, প্রধানমন্ত্রী মোদী জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের 'নিরাপত্তা' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
তিনি আরও বলেন যে, 'ওড়িয়া অস্মিতা (ওড়িয়া গর্ব)' এবং ওড়িয়া ভাষা সঙ্কটে। এর আগে একাধিকবার নবীন পট্টনায়ককে এই ইস্যুতে আক্রমণ করা হয়েছিল যে, তিনি ওড়িয়া জানেন না। রাজ্যের সংস্কৃতি সম্পর্কেও তাঁর ধারণা নেই বলে বারবার দাবি করেছে বিরোধীরা।