রবিবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা ভোটের আগে এই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে নির্বাচনের বিভিন্ন গেমপ্ল্যান নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। আর এই বৈঠকেই মন্ত্রীদের জন্য বিশেষ বার্তা দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে তিনি মন্ত্রীদের বিতর্কিত বক্তব্য এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে বেশি কথা বলা থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যখনই কথা বলবেন ভেবেচিন্তে কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের কোনও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কথা বলতেই হয়, তাহলে সরকারি প্রকল্প নিয়ে কথা বলুন। কোনওরকম অযথা এবং বিতর্কিত বক্তব্য এড়িয়ে চলুন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আমার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত রাজ্যসভার সাংসদদের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলেছি।
'জুনের বাজেটে উন্নত ভারতের প্রতিফলন'
মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জুনে যে বাজেট পেশ হবে, তাতে যেন এক উন্নত ভারতের প্রতিফলন দেখা যায়। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত কীভাবে একটি উন্নত দেশ হয়ে উঠতে পারে, সেই বিষয়ে সচিবরা প্রধানমন্ত্রীকে ৫টি প্রেজেন্টেশন দেখান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, হরদীপ সিং পুরি, কিরেন রিজিজু, অর্জুন মেঘওয়াল এবং পীযূষ গোয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাঁদের বিভিন্ন শলা-পরামর্শ পেশ করেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কেন্দ্রের কৃতিত্ব এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার উপরেই জোর দেবে বিজেপি। এই বিষয়ে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং গত ৫ বছরের কাজের বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
বিজেপির প্রথম তালিকায় ৩৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম
বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসী থেকে তৃতীয়বারের মতো ভোটে লড়বেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর বর্তমান আসন গান্ধীনগর থেকে এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লখনউ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দলের প্রথম তালিকায় ৩৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং বিপ্লব কুমার দেবের নাম রয়েছে। বিজেপি এবার কিছু বড় মুখ সহ বিভিন্ন রাজ্যের ৩৩ জন সাংসদের টিকিট বাতিল করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে যথাক্রমে কেন্দ্রীয় দিল্লি এবং চাঁদনি চক আসন থেকে টিকিট দেওয়া হয়নি। হর্ষ বর্ধন যদিও রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে ডাক্তারির পেশায় ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
বাদ ভোপালের বর্তমান সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরও। তাঁর জায়গায় ভোপাল থেকে অলোক শর্মাকে প্রার্থী করেছে দল। একইভাবে দক্ষিণ দিল্লি এবং পশ্চিম দিল্লি আসন থেকে যথাক্রমে রমেশ বিধুরি এবং পারভেশ সাহেব সিং ভার্মা টিকিট পাননি। তাঁদের জায়গায় বিজেপি এই দু'টি আসন থেকে রামবীর সিং বিধুরী এবং কমলজিৎ সেহরাওয়াতকে প্রার্থী করেছে।