অনুমান করুন যে ভারতীয়রা এই দিনগুলি অনলাইনে সবচেয়ে বেশি কী অনুসন্ধান করছে, মানে ইন্টারনেটে? আপনার অনুমান লোকসভা নির্বাচন, রাজনৈতিক বক্তৃতা, বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা আইপিএল ২০২৪-এ ধামাল সৃষ্টিকারী ক্রিকেট তারকাদের সম্পর্কে হবে। কিন্তু না, গুগল সার্চ ইঞ্জিনের ডেটা অন্য কথা বলছে। এই দিনগুলিতে প্রজ্বল রেভান্নাকে ভারতের ইন্টারনেট জগতে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। জেডিএস সাংসদ, যার বিরুদ্ধে একাধিক মহিলার যৌন শোষণের অভিযোগ রয়েছে এবং যার কথিত সেক্স টেপগুলি ভাইরাল হয়েছে৷ তথ্য বলছে যে মানুষ প্রজ্বল রেভান্নার কথিত যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও দেখতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে-র সঙ্গে যুক্ত শুভম তিওয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্বল রেভান্নার কথিত যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও সবচেয়ে বেশি দেখা হচ্ছে। গুগল সার্চে এই কথিত ভিডিওর সামনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব লোকসভা নির্বাচনের দীপ্তি ম্লান হয়ে গেছে। এই খবরটি ২৯ এপ্রিল জাতীয় শিরোনামে এসেছিল। তারপর থেকে, প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই কথিত যৌন ভিডিওটির সন্ধান করছেন। ইন্ডিয়া টুডের ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স টিম (OSINT) Google Trends এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X সম্পর্কিত ডেটা বিশ্লেষণ করেছে, যা এই ফলাফলগুলি দিয়েছে৷
কর্ণাটকে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটের দুদিন আগে একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়। জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নাকে ভিডিওতে দেখা গেছে বলে জানা গেছে। একজন কর্মকর্তা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে ভোটের তিন দিন আগে হাসানে ২,০০০ এরও বেশি পেনড্রাইভ বিতরণ করা হয়েছিল। পেনড্রাইভে ২,০০০ টিরও বেশি ফাইল ছিল যার মধ্যে ভিডিও এবং ফটোগ্রাফ ছিল। কিছুক্ষণ পর হোয়াটসঅ্যাপে ছবি ও ভিডিও শেয়ার হতে থাকে। সমস্ত ভিডিও ও ছবি জেডিএস সাংসদের বলে অভিযোগ।
প্রজ্বল রেভান্না কর্ণাটকের হাসানের সাংসদ। তিনি জেডিএস সুপ্রিমো এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে, তিনি জেডিএসের টিকিটে হাসান থেকে জিতেছিলেন। তিনি বিজেপির এ মঞ্জুকে পরাজিত করেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও জেডিএস তাকে প্রার্থী করে। যদিও প্রজ্বললকে এখন দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করেছে দলটি। যদিও এই পর্ব শুরুর ঠিক আগে রেভান্না বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। ইন্ডিয়া টুডে সূত্রের খবর, রেভান্না ২৮ এপ্রিল বেঙ্গালুরু থেকে ফ্রাঙ্কফুর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি এবং রেভান্না পরিবার বলেছেন যে এই পুরো পর্বটি তাদের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র যার কারণে তারা ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন না। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে, রাজ্যের সিদ্দারামাইয়া সরকার বিষয়টি তদন্ত করতে একটি সিট গঠন করেছে।