এবার ৪০০ পার। এই স্লোগান নিয়ে ভোট প্রচার শুরু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে তাঁর স্লোগানকে যে মানুষ সেভাবে গ্রহণ করেনি, তার প্রমাণ মিলল ভোটের ফলাফলে। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড সেই অনুযায়ী কার্যত স্পষ্ট ২৭২ আসন এককভাবে পায়নি বিজেপি। শেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৩৯ আসন। সুতরাং তাদের শরিকদলের উপর ভরসা রাখতে হবে। এদিকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শরদ পাওয়ারের তরফে ফোন করা হয়েছে নীতীশ কুমার ও টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবুকে। নবীন পট্টনায়ককেও ফোন করা হয়েছে বলে খবর। যদিও পরে শরদ পাওয়ার জানান, তিনি ফোন করেননি। কারও সঙ্গে কথা হয়নি তাঁর।
প্রসঙ্গত, সরকার গঠনের জন্য যে ২৭২ আসন প্রয়োজন সেই সংখ্যা নেই বিজেপির হাতে। সুতরাং এনডিএ-র শরিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বিজেপি-কে। যদিও এনডিএ সহজেই সরকার গড়বে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে টিডিপি ও জেডিইউ-র দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বিজেপি-কে। ফলে তারা যে কিছুটা হলেও কোণঠাসা তা মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞকা।
এর মধ্যে জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগীর বক্তব্য সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, এনডিএ-র সঙ্গেই থাকবেন। এনডিএ-তেই থাকবেন নীতীশ কুমার। প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, বিহারে এবার জেডিইউ পেয়েছে ১৪ আসন। সুতরাং বিজেপির সরকার গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নীতীশ কুমার।
অন্ধ্রপ্রদেশে তেলুগু দেশম পার্টি পেয়েছে ১৬ আসন। তারাও এনডিএ সরকার গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সুতরাং চন্দ্রবাবু ও নীতীশ কুমারের যৌথ এই ৩০ আসনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বিজেপি-কে।
সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া ব্লকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর জোটের নেতারাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) এবং শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে বলে খবর রয়েছে। আজ বিকেল ৪টার পর সেনা ভবনে যাবেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিকে সূত্র জানিয়েছে যে শরদ পাওয়ার জেডিইউ প্রধান নীতীশ, টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই তিন নেতার সঙ্গে পাওয়ার যোগাযোগ রয়েছে। বিকেল ৩টায় নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন শরদ পাওয়ার। যদিও শরদ পাওয়ার পরে জানান, তিনি কোনও নেতাকে ফোন করেননি। সন্ধেবেলা বৈঠক রয়েছে ইন্ডিয়া জোটের।