তৃণমূলের ইশতাহারে বড় ঘোষণা। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়স্ক সব ছাত্রীকে দেওয়া হবে হাজার টাকা। এককালীন ২৫ হাজার টাকাও দেওয়া হবে তাদের। ইস্তেহারে ঘোষণা করা হল একথা। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এই ইস্তেহার প্রকাশ করেন। তিনিই এই ঘোষণা করেন।
অমিত মিত্র জানান, এবারের ইশতেহারে দিদি অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোট ১০ টি শপথ করেছেন। সেই শপথগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মহিলাদের হাত শক্ত করা। অমিত মিত্র জানান, বাংলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টাকা দেওয়া হবে দেশের প্রতিটি স্কুল ছাত্রীকে। অমিত মিত্র জানান, বাংলার মেয়েদের শিক্ষার খরচ দেয় রাজ্য সরকার। একইভাবে সমগ্র দেশের শিক্ষার্থীদের খেয়াল রাখবে সরকার। দেশের ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়স্ক প্রতিটি ছাত্রীকে দেওয়া হবে হাজার টাকা। আবার এককালীন দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা। তবে এই হাজার টাকা মিলবে বাৎসরিক। কিন্তু এককালীন টাকাটা মিলবে ২৫ হাজার।
অমিত মিত্র বলেন, 'এগিয়ে বাংলা, এগোবে ভারত। বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্পের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে দেশের প্রতিটি স্কুল ছাত্রীকে লেখাপড়ায় সাহায্য করবে সরকার। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের ছাত্রীদের দেওয়া হবে ১ টাকা করে। এছাড়াও তাদের এককালীন দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা।'
অমিত মিত্র আরও জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে দেশের মহিলাদের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধে যেমন বাংলার মহিলারা পান একইভাবে দেশের মহিলারাও আর্থিক সাহায্য পাবেন।
এছাড়াও ইস্তেহারে উল্লেখ, প্রত্যেক বিপিএল পরিবারকে বছরে বিনামূল্যে দশটি সিলিন্ডার দেওয়া হবে যাতে তাঁরা পরিশ্রুত রান্নার জ্বালানি পেতে পারে। পরিবেশ বান্ধব এই উদ্যোগ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সমস্ত জব কার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের গ্যারান্টিযুক্ত কাজ প্রদান করা হবে। তাঁরা দেশজুড়ে ন্যূনতম ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরি পাবেন।
অমিত মিত্র আরও জানান, প্রত্যেক বিপিএল পরিবারকে বছরে বিনামূল্যে ১০টি সিলিন্ডার দেওয়া হবে। যাতে তারা পরিশ্রুত রান্নার জ্বালানি পেতে পারেন। এর মাধ্যমে পরিষেবা পরিবেশ বান্ধব রন্ধন প্রক্রিয়া ব্যবহারের অভ্যাস বাড়ানো হবে।
প্রতি মাসে প্রত্যেক রেশন কার্ড হোল্ডারকে পাঁচ কেজি বিনামূল্যে রেশন, চাল ডাল, শস্য প্রদান করা হবে। রেশন প্রত্যেক সুবিধাভোগীর দুয়ারে বিনা মূল্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।