লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হচ্ছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। রবিবার তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে এ কথা ঘোষণা করে দেওয়া হল। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তার মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রচার। নির্বাচনের প্রচার শুরুর আগেই ব্রিগেড সমাবেশে বাংলার ৪২ কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করে দিল রাজ্যের শাসক দল। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন বিশ্বকাপ জেতা ক্রিকেটার।
সেই তালিকায় নাম রয়েছে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী ক্যাপ্টেনের। ব্রিগেডের মূল সভা শুরু হওয়ার আগে বক্তব্য রাখতেও শোনা যায় তাঁকে। রাজনীতিতে হাতেখড়ি বিজেপিতে হলেও, দিল্লি ক্রিকেট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে আসন থেকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের শাসক দল। অল্প বয়সে ভুল করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বলেও এদিনের সভায় জানান তিনি। কীর্তি বলেন, 'সেই সময় অল্প বয়স ছিল। বিজেপিতে চলে যাই।' ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারের পর মহম্মদ শামি রোহিত শর্মাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী তা নিয়েও সমালোচনা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার।
গোটা ভারত জুড়ে ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের লড়াই লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন কীর্তি। তিনি বলেন, '১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জিতেছি ভারতীয় দলের হয়ে। দেশের জন্য খেলতাম সেই দলে সব ধর্মের প্লেয়ার ছিল। সেটাই ছিল ভারত। কিন্তু আজকের ভারতে ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের লড়াই। যে রাজ্য তোমার দখলে নেই তা যেভাবেই হোক দখল কর।' ফের বিজেপি ছাড়ার কারণ নিয়েও জনগর্জন সভায় নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে একযোগে আক্রমণ করতে ছাড়েননি কীর্তি। তিনি বলেন, 'দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে ৪০০ কোটির দুর্নীতি হয় অরুণ জেটলির সময়। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি অমিত শাহের কাছে পাঠিয়ে দেন। তারপর আর কিছুই হয়নি। আমরা পরে যখন প্রেস কনফারেন্স করেছি তখনই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। ভাগ্যিস তা হয়েছিল। তাই দিদির চরণে ঠাই পেয়েছি।'
পাশাপাশি কর্মসংস্থান নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি প্রাক্তন ক্রিকেটার তিনি বলেন, 'প্রতি বছর ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। তার মানে ১০ বছরে ২০ কোটি চাকরি। তা কোথায় গেল। ১৫ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেটাই বা কী হল?'