লোকসভা নির্বাচনের আগেই কি তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব চাপা পড়ল? গতকালের বৈঠকের পর এমনটাই মনে হতে পারে। শুক্রবার দলের সব স্তরের নেতা, বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে অভিষেকের ঢালাও প্রশংসা করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। অভিষেককে বেশ কয়েকবার 'আমাদের নেতা' বলেও সম্মোধন করেন তিনি। পাশাপাশি বয়সে নবীন হলেও অভিষেকের অভিজ্ঞতা যে সংগঠনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে কথাও বারবার বলেন তৃণমূলের বক্সীদা।
শুক্রবার তৃণমূলের একটি সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর সেখানেই সুব্রত বক্সী বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা এই লড়াইটা জিততে চাই। সংবিধান বিরোধী শক্তিকে আমাদের উৎখাত করতেই হবে। অভিষেক বয়সে অনেক ছোট হলেও কাজে অনেক অভিজ্ঞ। আমি অভিষেককে বলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাথায় রেখে একটা নির্বাচন কমিটি ও একটা প্রচার কমিটি তৈরি করা হোক।'
চলতি বছর ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে সুব্রত বক্সী ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ওইদিন সুব্রত বক্সী বলেন, 'এই নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, নিশ্চিতভাবেই তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। তিনি যদি লড়াই করেন, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়াই করবেন। আমরা নিশ্চিত যে তিনি জোড়াফুলকে সামনে রেখেই লড়াই করবেন।'
অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে। মমতা আছেন বলেই দেশের রাজনীতিতে আলোচনায় থাকে বাংলা।' সুব্রতর শব্দ চয়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পাল্টা তিনি বলেন, 'দলের রাজ্য সভাপতিকে আমরা সম্মান করি। যদিও তাঁর বাক্যগঠন নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। এটা একেবারেই কাম্য নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াইয়ের ময়দানেই রয়েছেন। তাঁর কথা শুনলে দলেরই মঙ্গল হবে।'