বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে ভণ্ডামির অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে যে রেখার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। দিল্লির জমিদারদের সঙ্গে জুড়লেও রাজ্য সরকারের এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধাভোগী। রেখার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের তথ্য পোস্ট করে ও প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে তৃণমূলের কটাক্ষ, 'বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত সুবিধা ভোগ করে ভণ্ডামির চূড়ান্ত খেলা খেলছেন দিল্লির জমিদারদের সঙ্গে নিজেকে জুড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পরের বার যখন আপনি তাঁকে কল করবেন, তাঁর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না। এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করতে পারে যে কীভাবে আমাদের নেতার ব্রেইনইল্ড স্বাস্থ্যসাথী ব্যর্থ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।'
একধাপ এগিয়ে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতও। তিনি দাবি করেছেন, বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগী। তৃণমূলের অভিযোগের বিষয়ে অবশ্য বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি ফোন করেছিলেন বসিরহাটের মহিলা প্রার্থী রেখা পাত্রকে। আর বুধবার সন্দেশখালি থেকে প্রচারে নামsন তিনি। সন্দেশখালির মানুষ শাঁখ বাজিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করাতে সাহস পেয়েছেন সন্দেশখালির মানুষ। এদিকে, বুধবার সভা করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন রেখা। জানা গিয়েছে, তাঁর কয়েকবার বমি হয়েছে। এরপরই তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কল্যাণী এইমসে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিহাইড্রেশনের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রেখা। তাঁর শরীরে জলের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। হাসপাতালে তাঁর সবরকমের পরীক্ষা করা হয়। একাধিক রক্তের পরীক্ষাও করা হয়, স্যালাইনও দেওয়া হয় তাঁকে। আজ সকালেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে অভাব বোধ করায় তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র। তিনি ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী শতরূপা বলেন, 'বেশ করেছে নিয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড। ওটা তো তৃণমূলের প্রকল্প নয়। এটা সরকারি প্রকল্প। রেখা গরিব মানুষ। তাই নিয়েছেন। এতে কোনও অন্যায় নেই। তৃণমূল কি বলতে চাইছে যারা অন্য দল করেন তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়া যাবে না। ওদের দ্বিচারিতা প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে।'