Advertisement

EXIT POLL-এ বাংলায় বিজেপি-র দুর্দান্ত রেজাল্ট, কেন? ১০ কারণ

এগজিট পোলের ফলাফলের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি প্রচুর আসনে জয়লাভ করেছে। India Today Axis My India  সমীক্ষা অনুসারে, তৃণমূল ৪২টি আসনের মধ্যে পেতে চলেছে ১১ থেকে ১৪। আর বিজেপি পেতে চলেছে ২৬ থেকে ৩১টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস শূন্য। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই সমীক্ষাগুলিকে অসত্য বলে অভিহিত করেছে। আর বলছে তারা ৪ তারিখ অবধি অপেক্ষা করবে তারপর জানাবে।

Exit Poll 2024
জয়ন্ত ঘোষাল
  • নয়াদিল্লি,
  • 03 Jun 2024,
  • अपडेटेड 2:39 PM IST
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩ বছরের একটা প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ফ্যাক্টর
  • ১৩ বছরের প্রশাসনিক ব্যর্থতা
  • ধারাবাহিক ভাবে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্টের তদন্ত

আজ থেকে প্রায় ৩০ বছরের আগের কথা। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে কলকাতা যাচ্ছিলাম কালকা মেলে করে। বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক হবে। তখন ট্রেনের একটা বগি দলের পক্ষ থেকে ভাড়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিনিধিদের দল নিয়ে যাওয়া হত বিভিন্ন শহরে কর্মসমিতির বৈঠকের উদ্দেশ্যে। বাজপেয়ীজি আমাকে বলেছিলেন, কলকাতায় কর্মসমিতির বৈঠক হচ্ছে কিন্তু এই দুঃখ থেকে গেল এত বছরেও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রাজ্য সেখানেও আমাদের দলের কিছু শ্রীবৃদ্ধি হল না। বাজপেয়ীজি নিজে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সচিব ছিলেন, তাই এই দুঃখ তাঁর মনের মধ্যে ছিল। আজ এত বছর পর নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বে বিপুল বিজয় কাহিনি লিখল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি।

এগজিট পোলের ফলাফলের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি প্রচুর আসনে জয়লাভ করেছে। India Today Axis My India  সমীক্ষা অনুসারে, তৃণমূল ৪২টি আসনের মধ্যে পেতে চলেছে ১১ থেকে ১৪। আর বিজেপি পেতে চলেছে ২৬ থেকে ৩১টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস শূন্য। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই সমীক্ষাগুলিকে অসত্য বলে অভিহিত করেছে। আর বলছে তারা ৪ তারিখ অবধি অপেক্ষা করবে তারপর জানাবে।

এগজিট পোল ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল নয়। সেটা জানা যাবে ৪ তারিখ। কিন্তু যে এগজিট পোলের ফলাফল এসেছে তা কতটা সঠিক ৪ তারিখ চূড়ান্ত হবে! কিন্তু বিজেপি র ভাল ফল হওয়ার পিছনে কমপক্ষে ১০টি কারণ বিশ্লেষণ করা যায়।

প্রথমত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩ বছরের একটা প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ফ্যাক্টর আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যর্থতা একটা অভিযোগ। দীর্ঘদিনের শাসনের ফলে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন জেলায় সেটি দেখা যাচ্ছে। ২০১৯ সালেও যখন লোকসভা নির্বাচন হয় তখনও বিজেপি ভাল ফল করে। কিন্তু বিজেপির রণকৌশল মমতা বিরোধিতা থেকেও বেশি ছিল তৃণমূল বিরোধী। তার কারণ তখনও বিজেপির মনে হয়েছিল, মমতাকে ব্যক্তিগত ভাবে আঘাত করলে তার যে জনসমাজে যে নিয়ন্ত্রণ সেটাতে আঘাত লাগলে বিজেপির লোকসান হতে পারে। কিন্তু ২০২১ সালে বিপুলভাবে মমতা জেতার পরেও বিজেপি কিন্তু তার অভিমুখ বদলায়নি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে ২০২৬ শের বিধানসভা নির্বাচন যুক্ত করেছে। ২০২৪ শেষ বিজেপি পুরো প্রচারটা কিন্তু মমতা-কেন্দ্রিক করে তুলেছে। সুতরাং মূল লড়াইটা হয়েছে মোদী বনাম মমতা। সবথেকে যেটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা। হচ্ছে মোদী ফ্যাক্টর। এটাই হচ্ছে প্রথম কারণ নরেন্দ্র মোদী শুধু গোটা দেশের জনপ্রিয়তম নেতা নয়, তিনি কিন্তু পশ্চিমবাংলাতেও তার প্রভাব প্রতিপত্তি এবারে অনেক বাড়িয়েছেন। আর তিনি সেটা কম্যুনিকেটও করেছেন। গতবার রোড শো অমিত শাহ করেছিলেন। এবারে কিন্তু উত্তর কলকাতায় রোড শো করেছেন নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্র মোদী সন্দেশখালির প্রার্থী রেখা পাত্র এবং কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীকে নিজে ফোন করেছেন। তার দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ জয়ের যে অভিলাষ এবং তীব্রতা দেখা গেছে সেটা কিন্তু কখনও জাতীয় স্তরের

Advertisement

কোন নেতা বা অন্য কোনও দলের নেতার মধ্যে আমি অনন্ত কখনও দেখিনি। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে ১৩ বছরের প্রশাসনিক ব্যর্থতা, সেটার ব্যাপারে বিজেপির প্রচার করেছে।

এরপর তৃতীয় কারণ হিসেবে দুর্নীতি। ধারাবাহিক ভাবে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্টের তদন্ত হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও সিবিআই, এনফোর্সমেন্টের তদন্ত চালানো হচ্ছে। চারদিক দিয়ে নানারকমের তদন্তের মধ্যে দিয়ে বিজেপি সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই ধারণাটা গেঁথে দিতে সম্ভব করেছে যে এই সরকারের মধ্যে দুর্নীতি প্রবাহ চলছে। বিভিন্ন জেলাতে এবারে নির্বাচনে ঘুরতে গিয়ে চায়ের দোকানে বিভিন্ন ক্লাবে প্রকাশ্যে সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হতে দেখেছি মানুষকে,যেটা এর আগে ২০২১ র নির্বাচনেও দেখিনি। সুতরাং বারবার প্রচারে বিজেপি কোথাও দুর্নীতি নিয়ে একটা সফলতা পেয়েছে। চোখের সামনে টাকা পয়সার ছবি দেখা এবং বারবার জেলে যাওয়া এগুলো ধারাবাহিক ভাবে একটা পারসেপশন কিন্তু তৈরি করে বিজেপি।

চতুর্থ ফ্যাক্টর হচ্ছে মাফিয়া রাজ। অর্থাৎ সন্দেশখালিতে শাজাহানের বিষয়টা বিজেপি তুলে ধরেছে। এটা শুধু একটা জেলার ঘটনা নয়। এটা কিন্তু গোটা রাজ্যের একটা নমুনামাত্র বা মডেল বলা যেতে পারে। সিপিএম এর সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সেই সময় রাজনৈতিক হিংসার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে সিপিএম শাসকদলকে এবং পুলিশকে। তাদের যৌথ সন্ত্রাস নিয়ে। আমারা সাংবাদিকরাও এব্যাপারে সোচ্চার ছিলাম। কিন্তু কংগ্রেস থেকে যেমন লুম্পেন এলিমেন্ট প্রবেশ করেছে সিপিএমে। আবার সিপিএমের লুম্পেন এলিমেন্ট আবার প্রবেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। কেননা শাসকদলে সবসময় এই মাফিয়া রাজরা থাকতে চায়। বিজেপির বক্তব্য হচ্ছে সেই মাফিয়ারাজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খতম করতে পারে নি। এই মাফিয়ারাজাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মধ্যবিত্ত ভিক্টিম। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যাচারিত। বিভিন্ন ক্লাবের মধ্যে দিয়েও এই মাফিয়ারাজাটাকে কায়েম করে রাখা হয়েছে এই অভিযোগ জেলায় জেলায় গড়ে উঠেছে। পঞ্চম কারণ হচ্ছে যে মহিলা ভোটারা ছিল মমতার নয়নের মণি এখনও মনে আছে রেলমন্ত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যারা পরিচারিকা তাদের জন্য বিনামূল্যে রেলের মান্হলি কার্ড করে দিয়েছিলেন। গরীব মহিলারা বিভিন্ন জেলা থেকে রেলে করে কলকাতা শহরে কাজ করতে আসে। তাদের কথা ভেবে ফ্রি মান্হলি চালু করা হয়েছিল। এমনকি যারা আধুনিক উচ্চশিক্ষিতা নারীসমাজ তারাও ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রশ্নে এবং মমতার পক্ষে এসে দাঁড়িয়ে ছিল সিপিএম এর অপশাসনের বিরুদ্ধে। এমনকি টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং অন্যান্য কলাকুশলী এবং সাংস্কৃতিক জগতেরও প্রচুর মহিলারাও মমতার সঙ্গে আছেন। এই মহিলা ভোটকে নরেন্দ্র মোদী ভাঙ্গাতে চেয়েছেন। সেই কারণে সন্দেশখালিতে নারীদের উপর অত্যাচার হয়েছে এবং নারীরা তার প্রতিবাদ করছে এই বিষয়টাকে একটা অদ্ভুত আলেখ্য বিজেপি কিন্তু তৈরি করতে পেরেছে। কেননা শুধু ঘটনা ঘটলে হয় না, সেই ঘটনাকে মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরা। এটাও নিপুণ ভাবে বিজেপি

Advertisement

করেছেন। সেইজন্য বিজেপির আইটি সেলের অমিত মালব্য কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন যে সেই জিনিসটাকে সঠিক ভাবে পৌঁছে দিয়েছেন জেলায় জেলায়।

ষষ্ঠ কারণ হচ্ছে মুসলমান সমাজে কি ভাঙন ধরছে?

ঠিক এই সময়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না। কারণ ভোটের ফলাফল ও সেগমেন্ট অনুযায়ী বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আইএসএফ নামক দলের গঠন এবং যদিও আইএসএফ-এর সঙ্গে সিপিএম এর আঁতাত হয়নি এবং আই এস এফ অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু অভিযোগ করেছে যে আই এস এফকে বিজেপি মদত দিয়েছে যাতে মুসলিম ভোট ভাঙা যায়। কারণ বিজেপি নেতৃত্ব জানেন মুসলিম ভোট বিজেপির দিকে যাবে না। কিন্তু মুসলিম ভোটটা যদি এনব্লক ভোটিং হয় তাহলে কিন্তু মমতার লাভ হবে। মমতা শতকরা ৩০ ভাগ মুসলিম ভোটের সমর্থন নিয়ে ভোটে নামে। এবারে সেই মুসলিম ভোটের ভাঙার একটি প্রচেষ্টা করেছে বিজেপি। আই এস এফের শতকরা ভোট কত পেয়েছে সেটা দেখলে তবে এই বিশ্লেষণ করতে আরো সুবিধা হবে। কিন্তু এটা বলা যায় যে আই এস এফ কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত মমতা বিরোধী প্রচার চালিয়েছে। বিভিন্ন ফুটেজ ভাইরাল করেছে।আই এস এফের মূলনেতাদের মূলপ্রচারের বিষয় ছিল মমতা মিথ্যে কথা বলছে তিনি মুসলিমদের জন্য কিছুই করেন নি।

সপ্তম কারণ বাঙালি ভদ্রলোক। অতীতেও অনেক দাঙ্গা হয়েছে। নোয়াখালীতে দাঙ্গা হয়েছিল বলেই ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে গান্ধীজি দিল্লিতে না থেকে তিনি নোয়াখালীতে এসেছিলেন। তখন নোয়াখালী এই বঙ্গদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৭১ সালে নোয়াখালী বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ পৃথক রাষ্ট্রও হয়ে গেছে। বাঙালি দুবার দেশভাগের জন্য দুবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একবার ১৯৪৭ সালে আবার ১৯০৫ সালেও বঙ্গভঙ্গ হয়েছে। স্বাধীনতার আগে যখন প্রথম নির্বাচন হয়েছিল তখনও কিন্তু মুসলিম লীগ সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। তারফলে সাম্প্রদায়িকতার ফ্রন্ট লাইন পশ্চিমবঙ্গে নেই একথা বলা যায় না। ভদ্রলোক বাঙালি তাদের যে হিন্দুত্ববাদী মন এবং মেরুকরণের মানসিকতা সেটাকে বড়াবড় লুক্কায়িত রেখেছে তাদের অভিজাত ভদ্রলোক কার্পেটের তলায়। বিজেপি আগে বাজপেয়ী-আডবাণীর সময় এই ভদ্রলোক আইডেনটিটিকে মর্যাদা দিতে গিয়ে উগ্র হিন্দুত্বের রাজনৈতিক লাইন গ্রহণ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হত। কিন্তু মোদী অমিত শাহ মনে করেছেন সেই সনাতনী হিন্দু ধর্মকে আবার জাগিয়ে তুলে হিন্দুত্ববাদী লাইনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে তার জন্য বালক রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা ইস্যু ও বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ভাবে করেছে। ২০২১ এর নির্বাচনে পরাজয়ের পরও এই রণকৌশল থেকে বিজেপি সরে আসেনি। সেই রণকৌশল আজ বিজেপিকে ডিভিডেন্ড দিচ্ছে।

অষ্টম কারণ শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্যের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দুর্নীতির অভিযোগ শিক্ষাক্ষেত্রে ও যুক্ত। কেননা পার্থ চট্টোপাধ্যায় টাকা পয়সার বিনিময়ে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করেছিলেন সেই অভিযোগ ছিল। শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সমস্যা। সেইখানে নরেন্দ্র মোদী উত্তর

কলকাতার মতো রেঁনেসার শহরে রোড শো করে বলেছেন যে শিক্ষাক্ষেত্রে আবার বাংলাকে সোনার বাংলা পরিণত তিনি করবেন। এই আশার আলো মানুষের কাছে তুলে ধরে বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

নবম কারণ, ডবল ইঞ্জিন। কারণ কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাত মেটাতে পারে দুই জায়গায় বিজেপি সরকার থাকে। কেননা মোদী এটাই প্রচার করেছে আমি অনেক কিছু করতে চাইছি কিন্তু তৃণমূলের একটাই শ্লোগান হতে দেব না, হতে দেব না। তাহলে আপনারা যদি চান বাংলায় কিছু হোক তবে পশ্চিমবঙ্গে চাই ডবল ইঞ্জিন। এই ডবল ইঞ্জিনের সরকারের তত্ত্ব যদি ত্রিপুরায়, অরুণাচল প্রদেশে কার্যকর হতে পারে তবে পশ্চিমবঙ্গে কেন হতে পারে না। এই ডবল ইঞ্জিনের প্রত্যাশা মানুষের মনে জেগেছে । এইটা বাঙালিদের মধ্যে বিজেপির নুতন ফেনোমেনান এখন। যদিও বিজেপির ৭৭ টি এম এল এ হয়ে গেছে। একজন রাজ্যসভায় সদস্যও হয়ে গেছে। সুতরাং বিজেপি ইতিমধ্যেই একটা সাফল্যের কাহিনী হয়ে গেছে। তবুও বিজেপি উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশের তুলনায় শাসক দল হিসেবে নুতন ফেনোমেনান।

Advertisement

দশম কারণ হচ্ছে, বিজেপি খুব সুকৌশলে ২০২৪ শের সঙ্গে ২০২৬ কে যুক্ত করেছে। আপনারা যদি ২০২৬ শেষ বিজেপি সরকার চান তাহলে এবার বিপুল ভোটে বিজয়ী করে আমাদের সেই শক্তি অর্পণ করুন। এটা একধরনের ড্রেস রিহার্সাল। এটা বলা যেতে পারে একধরনের আরম্ভের আগে আরম্ভ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগুলোকে কাউন্টার করার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো তার জনমুখী প্রকল্পের উপর নির্ভর করেছিলেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয়তা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বও কিন্তু এবারে চরমে উঠেছিল। সেটাও কিন্তু অনেক জায়গায় বিপদের কারণ হয়েছে। প্রবীণ এবং নবীনের দ্বন্দ্ব। দলের মধ্যে আরও নানান রকমের জটিলতা সেইগুলো ভোটের দিন পর্যন্ত দেখা গেছে। এৎসত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ভোটের সমীক্ষার এই ফল অসত্য হবে। তার জন্য আমাদের ৪ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এই সমস্যাগুলো যে তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছে। সেই সমস্যাগুলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোকাবিলা করতে পেরেছেন কী পারেননি? তিনি ২০২১ শে বিজেপির এই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু ২০২৪ শে আবার আরেকটা নির্বাচনের সময় তিনি কতটা পারবেন সেটাই এখন দেখার।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement