চোপড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বন্দুক নিয়ে বুথের আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমনটাই অভিযোগ করলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি প্রার্থী তথা সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের উত্তর দিনাজপুরের এই বিধানসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খোলা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপি সহ বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের সরিয়ে দেওয়া ও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
রাজুর অভিযোগ
রাজুবাবু অভিযোগ করেন, "বহু বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা কি বাংলা চেয়েছিলাম এবং মমতা দিদি আমাদের কি বাংলা উপহার দিলেন! ওই সমস্ত বুথে আমরা রি-পোলিং এর দাবি করব।"
রাজুর দাবি
চোপড়ায় তিন জায়গা থেকে কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানদের হটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন রাজুবাবু। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বলেন, আপনাদের হাতে বন্দুক রয়েছে। তাহলে এটা কি কারনে দেওয়া হয়েছে।" নির্বাচন কমিশনের কাজেও তিনি ক্ষুব্ধ। তিনি চান যে আরও কঠোরভাবে সমস্ত বিষয়টি পরিচালনা করা হোক। তবে কটি বুথে তারা পুনঃনির্বাচন চাইছেন তা পরে জানিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
রাজু বিস্তাকে ঘিরে বিক্ষোভ
অন্যদিকে দিন এলাকা পরিদর্শনে গেলে দার্জিলিংয়ের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে ঘিরে শিলিগুড়িতে একটি বুথে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। কেউ জমায়েতের মধ্য থেকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলেন। বুথের এলাকার মধ্যে প্রচারের অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। তারপরই তাঁরা উপস্থিত বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে ধরেন ও অভিযোগ করেন। রাজুবাবু অবশ্য তাঁদের ডেকে কথা শোনেন ও অভিযোগ সঠিক হলে নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করবেন বলে জানান। যদিও তিনি সংবাদমাধ্যমের সময় এই বিষয়টিকে বিক্ষোভ বলে মানতে রাজি নন। তিনি জানান, "কয়েকজনের কিছু অভিযোগ ছিল। অভিযোগ সঠিক হলে দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে বিক্ষোভ হয়নি। এটা সংবাদমাধ্যমের বানানো অভিযোগ।"
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিয়াপাড়া এলাকায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের একশো মিটারের মধ্যে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে এবং মোদির টি শার্ট পড়ে ঘুরতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীকে। এরপরই ওই এলাকায় বিজেপি প্রার্থী পৌঁছালে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এরপরই প্রার্থী রাজু বিস্তা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সাথে কথা বললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রাজু বিস্তা বলেন, যদি কোন কর্মী সে যেই দলেরই হোক না কেন এমন কাজ করে সেটা অন্যায়।