শিলিগুড়িতে বামেদের খাস তালুকেই ভোটারকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যদিও ওই এলাকা ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অংশ, তবে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ওয়ার্ড হিসেবে তা বামেদের দখলে। ওই ওয়ার্ডের একটি বুথে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করছে বিজেপির এক মহিলা কর্মী, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর নাগাদ এই অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে গেটবাজার এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে গেটবাজার লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। এই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রটি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন সকাল থেকে সুষ্ঠভাবে ভোট হচ্ছিল এই কেন্দ্রে। অভিযোগ, বেলা বাড়তেই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভারতী সরকার তার মেয়েকে নিয়ে ভোট দিতে যান। সেখানে থাকা এক মহিলা তাকে ও তার মেয়েকে বিজেপিতে ভোট দেওয়ার কথা বলে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।ঘটনার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সেখানে থাকা তৃণমূল কর্মীরা প্রথমে ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এর পরই হঠাৎ করে আশপাশ থেকে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করলে স্থানীয় ভোট কর্মীরাই দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জও করে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। তবে কোথাও কোনওরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার দায় পুলিশ ও বাহিনীকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। ছোটখাটো বিক্ষিপ্ত এই সমস্ত ঘটনা অবশ্য গুরুত্বের তালিকায় আনতে চাইছেন না শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শংকর ঘোষ। অন্যদিকে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শিখা চট্টোপাধ্যায় মনে করছেন তাদেরই বরং বিভিন্ন জায়গায় হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাঁদের এক পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি গিয়ে তাঁকে সেখানে বসিয়ে দিয়ে আসেন। আবার এই বিধানসভারই শিলিগুড়ির শক্তিগড়ে বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। সব মিলিয়ে মোাটের উপর উত্তপ্ত ছিল এলাকা।