Advertisement

Hiran Chatterjee EXCLUSIVE: দেবের 'স্টারডাম' কতটা চ্যালেঞ্জ? ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কী পরিস্থিতি? 'বিস্ফোরক' হিরণ

Hiran Chatterjee: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ‌্যায়কে। হিরণ বিজেপির বিধায়কও বটে। একদা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। এখন বিজেপিতে। সম্প্রতি বিজেপির পক্ষ থেকে লোরসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ঘাটাল থেকে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হচ্ছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

হিরণ-দেব
মৌমিতা ভট্টাচার্য
  • কলকাতা,
  • 05 Mar 2024,
  • अपडेटेड 1:03 PM IST
  • আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ‌্যায়কে।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ‌্যায়কে। হিরণ বিজেপির বিধায়কও বটে। একদা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। এখন বিজেপিতে। সম্প্রতি বিজেপির পক্ষ থেকে লোরসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ঘাটাল থেকে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হচ্ছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এই লোকসভা কেন্দ্রে দুবারের জয়ী সাংসদ দেব। যদিও অভিনেতার নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তবে নিজের প্রার্থী হওয়া থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সবকিছু নিয়ে bangla.aajtak.in-এর কাছে বিস্ফোরক হিরণ।  

'ঘাটাল থেকে আপনাকে প্রার্থী করা হল', এটা আশা করেছিলেন?
 
হিরণ: দেখুন এটা তো ভারতীয় জনতা পার্টি, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দল, বিজেপির যে কোনও সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবে হয়। এটা তো তৃণমূলের মতো আঞ্চলিক দল নয়, যেখানে তারা একটা সিদ্ধান্ত নিলে সেটাই সবকিছু, আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি থাকে, রাজ্য কমিটি থাকে, তারা সবরকম ভেবেচিন্তে একচা সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং সেই সিদ্ধান্তের ব্যাপার যখন আমাদের মতো সাধারণ কার্যকর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, সেই নির্দেশ আমরা পালন করার চেষ্টা করি। আমাদের দল এভাবেই চলে আর সেইজন্য বিজেপি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দল। আর সেইজন্যই যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব সারা ভারতবর্ষ জুড়ে। মানুষের যে সেবাকার্য চলছে, গত ১০ বছর ধরে যশস্বী প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মানুষের সেবা করে চলেছেন, তার একটাই কারণ এটা সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী দল এবং যে কোনও বিষয়ে সার্বভৌমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেখানে ব্যক্তি বিশেষের কোনও প্রাধান্য থাকে না বা আমি চাইলাম আমি হয়ে গেলাম, আমি একটু তাকে বলে দিলাম সে আমার হয়ে বলে দিল এগুলো বিজেপিতে চলে না। সেইজন্য আমি গর্বিত যে ভারতীয় জনতা পার্টি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন এই লোকসভাতে নরেন্দ্র মোদীজিকে জিতিয়ে নিয়ে আসতে হবে, আমি আমার ঘাটালের যারা সাংগঠনিক কার্যকর্তা আছেন তাদের সবাইকে নিয়ে, সবার সঙ্গে আমরা ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদীজিকে জিতিয়ে আনব।   

Advertisement

ঘাটাল কেন্দ্রের দু'বারের জয়ী সাংসদ দেব, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও তৃণমূলের অন্দরের খবর এই কেন্দ্র থেকে দেবকেই প্রার্থী করা হবে, তোমার প্রচারের স্ট্র্যাটেজি কী হবে?

হিরণ: এটা তৃণমূলের ব্যক্তিগত ব্যাপার, কাকে লোকসভার প্রার্থী করবেন আর কাকে করবে না, সেটা দলের সিদ্ধান্ত এই নিয়ে বলার কিছুই নেই। এটাই বলার যে গত দশ বছর ধরে ঘাটালের সাংসদ (দেব) যেভাবে দুর্নীতি করে চলেছেন, যেভাবে গরীব মানুষদের ঠকিয়েছেন, যেভাবে গরীব মানুষদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেভাবে গরু চোরদের থেকে টাকা নিয়েছেন, যেভাবে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন, যেভাবে ৩০% কাটমানি নিয়েছেন, যেভাবে ওঁনার দলের ওঁনার রাজনৈতিক গুরু, প্রাক্তন বিধায়ক, প্রাক্তন সাংগঠনিক ঘাটালের চেয়ারম্যান শঙ্কর দলুই মহাশয় একই কথা বলেছেন যে তিনি ৩০ শতাংশ কাটমানির নীচে কাজ করেন না। ওঁনার (দেব) নাম আর ঘাটালের মানুষ নেন না, তাঁকে ৩০% কাটমানি বলেই চেনে। তো সেই ৩০% কাটমানি ভোটে দাঁড়াক বা না দাঁড়াক, ঘাটালের লোকসভার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেকআপ করে আসা ফিল্মস্টার, হাতজোড় করে এসে মিষ্টি মিষ্টি করে এসে বলবেন আমাকে ভোটটা দিন প্রত্যেক পাঁচবছর অন্তর, তারপরে উনি শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন, লোকসভায় ওঁনার উপস্থিতি সাড়ে এগারো শতাংশ। মানুষ যাঁকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন, গরীব মানুষের ট্যাক্সের টাকাতেই যিনি ভাতা পান, মাইনে পান, গাড়ি চড়েন, ফ্লাইটে করে যাতায়াত করেন, গত দশ বছর ধরে, সেই গরীব মানুষের টাকা দিয়েই সবকিছু উপভোগ করছেন, কিন্তু তিনি সাংসদ ভবনে মাত্র সাড়ে এগারো শতাংশ গিয়েছেন। আর ৮৯.৫ শতাংশ উনি শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, সাংসদে না গিয়ে। আর ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ তো ওঁনাকে দেখেননি, ছেড়েই দিন। হ্যাঁ, দেখেন যখন বন্যা হয়, গোড়ালি অবধি জলে নেমে সেখানে মিডিয়াকে ডেকে বলে যে আমার এই ছবিটা তোলো, দেখায় যে আমি ঘাটালে বন্যা দুর্গতদের পাশে আছি, জীবন দিয়ে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। চটিচাটা মিডিয়া যারা আছেন, তারা সেই সাংসদের ছবি প্রকাশ করছেন গত দশ ছর ধরে। তারা বলছেন যে ওঁনার মতো এত বিখ্যাত সাংসদ হন না। যে মুহূর্তে আমি গত ২ বছর ধরে ওঁনার সমস্ত তথ্য মানুষকে দিলাম সাংবাদিকরা আর কোনও প্রশ্ন করতে পারছেন না। 

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আপনার কী মনে হয়?

হিরণ: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে উনি দশ বছর ধরে মিথ্যে কথা বলছেন। মুখে মেকআপ লাগিয়ে, হাতজোড় করে এসে মিষ্টি মিষ্টি কথায় বলেন আমি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানটা করে দেব। ২০১৪ সালে বলেছিলেন, কী করলেন ২০১৯ সাল পর্যন্ত? ২০১৯ সালে আবার বললেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে দেব, তারপর কী করলেন? এরপর আমি যখন ২০২২ সাল থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে চাপ দিতে শুরু করলাম তখন উনি বাধ্য হয়ে এটা নিয়ে লোকসভাতে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই সেটা অ্যাপ্রুভ করে দিয়েছেন, উনি সেটা জানতেন না বোধহয়। সেটা বলার পরে তিনি লোকসভায় এটা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন ২০২২-এ। তখন ওঁনাকে উত্তর দেওয়া হয় ১৬ জুন ২০২২-এ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স অ্যাপ্রুভ হয়ে গিয়েছে। এত কিছু জানার পরও উনি চুপ করে গেলেন। তারপর ক্রমাগত আমি যখন বলছি এবং সংবাদমাধ্যমও যখন দেখাতে শুরু করল, তখন ঠিক এক বছরের মাথায় ২০২৩ সালে, মানে উত্তর পেয়ে যাওয়ার আবার একবছর পরে লোকসভাতে আবারও একই প্রশ্ন করলেন যে ঘাটাল মাস্টার প্রকল্পের কী অবস্থা। তাঁকে আবারও একই উত্তর দেওয়া হয়েছে। তারমানে কী রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসা উচিত ছিল। একট ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স মানে অফার লেটারের মতো। ভারতবর্ষের সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে চলছে, সেখানে কেন্দ্র-রাজ্য মিলে কাজ করতে হয়, কেন্দ্র এসে কোনও কাজ নিজে নিজে করে ফেলতে পারে না। জমি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এটা পুরোপুরি রাজ্যের হাতে। তো ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করতে হলে জমি দিতে হবে। ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স স্বীকার করে রাজ্যকে লিখতে হবে আমরা এই এই শর্তে আপনারা যে শর্ত দিয়েছেন সেভাবে কাজটা করতে রাজি আছি। এই সমস্ত না করে সাংসদ কী করলেন, নাটক করবার জন্য, আরামবাগে গিয়ে, শ্রেষ্ঠ মিথ্যাশ্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরামবাগের স্টেজে উঠে নাটক করে বললেন উনি নাকি ১০ বছর ধরে মোদীজির সঙ্গে লড়াই করছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে। আরে এটা তো দিয়ে দেওয়া হয়েছে, অ্যাপ্রুভ করে দেওয়া হয়েছে, আপনারা ইচ্ছে করে করেননি। যাতে কেন্দ্রকে দোষ দিয়ে দেওয়া যায়। ১০০ দিনের কাজের জন্য যেটা চলছে, গত বছর বাজেট সেশন ২০২৩-এ সম্ভবত ১৭ ফেব্রুয়ারি, বিধানসভায় আমি একই প্রশ্ন করেছিলাম, আপনারা মিথ্যে কথা বলছেন, ২০১১ থেকে আজ পর্যন্ত আপনারা যে এত হাজার হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র থেকে পেয়েছেন, তার কোনও অডিট দেননি। সাংসদের এইসব কারচুপি বাংলার মানুষ, ঘাটালের মানুষ ধরে ফেলেছে, আর সেটা ধরে ফেলেছে বলে কেশপুরে ২০১৯-এ মাননীয় সাংসদ ৩০% কাটমানি তিনি বুথটাকে লুট করেছিলেন। ৯৭ হাজার ভোটে উনি লিড পেয়েছিলেন। আর সেটাই যখন ২০২১-এ মানুষ উপলব্ধি করল যে উনি মিথ্যেবাদী, উনি আসেন না কোনও কাজ করেন না, শুধু শ্যুটিং করে বেরান, ভোটের সময় ভোট চান। তখন ২০২১-এ যদি দেখা যায় মাত্র ১৬ হাজার ভোটে উনি লিড পেয়েছিলেন। এই যে বিশালভাবে ওঁদের লিড কমে এল কারণ ঘাটাল লোকসভার মানুষ ওঁনার মিথ্যে কথা বুঝে গিয়েছেন। উনি এতটাই নাটক করেন যে হঠাৎ করে উনি বললেন যে তিনি আর এই লোকসভা থেকে দাঁড়াবেন না, সেটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিলেন, ইন্টারভিউ নিলেন কতকিছু করলেন। তারপরে শ্রেষ্ঠ মিথ্যাশ্রী মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সুইজারল্যান্ড থেকে একটা চকোলেট এনে খাইয়ে দিলেন, উনি চকোলেট খেতে খেতে সব ভুলে গিয়ে বললেন তিনি আবার ভোটে দাঁড়াবেন। আসল কথা হল মানুষ এখন মিথ্যে নাটক ধরে ফেলেছেন, আমার খুব হাসি লাগে খুব কষ্ট হয় গরীব মানুষকে এত ঠকিয়ে কী লাভ? উনি তো প্রযোজকদের থেকে, সাংসদ ল্যাড থেকে কোটি কোটি টাকা লুটেছেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন। এখনও মানুষকে ঠকাতে হবে ? এখনও গরীব মানুষকে মিথ্যে বলতে হবে? এগুলো না বললে পরের বার উনি মানুষকে লুঠবেন কী করে। ২০১৪-তে ওঁনার হলফনামা দেখুন, ওঁনার কী কী সম্পত্তি ছিল, ২০১৯-এ দেখুন ওঁনার কী কী সম্পত্তি রয়েছে। এই পাঁচ বছরে রাজনীতি করে কী বিপুল সম্পত্তি বাড়িয়েছেন। ওঁনার হলফনামা দেখলেই দেখতে পারবেন। 

Advertisement

দেব প্রার্থী হলে, দেবের কি এই স্টার ফ্যাক্টরটা কোনওভাবে কাজ করবে ঘাটালের মানুষের কাছে?

হিরণ: দেখুন শুধু ঘাটালের মানুষ নয়, গোটা বাংলার মানুষ একটা ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তাঁরা মেকআপ করে আসা ফিল্মস্টার, তাঁদের কথায় আর তাঁরা ভুলবেন না। কারণ গত ১০ বছর ঘাটালের মানুষ কিছুই পাননি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তো দূরের কথা, একটা রেল স্টেশন পর্যন্ত করেননি তিনি। যে রেল স্টেশনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জমি চাওয়া হয়েছিল। তারা জমি পর্যন্ত দেয়নি কারণ তারা এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। রেল স্টেশন করে দিলে তো কেন্দ্রের নাম হয়ে যাবে, তাই না? সে কারণে ঘাটালের মানুষ বঞ্চিত। ঘাটালের মানুষ কী এমন অপরাধ করেছে যে সেখানে একটা রেল স্টেশনও করতে দেওয়া হল না। দশ বছর ধরে একটা সাংসদ ইচ্ছে করে একটা রেল স্টেশন করতে দিলেন না। আপনি দেখুন, ঘাটালের লক্ষ লক্ষ ভাই-বোনেরা, কে গুজরাতে থাকে, কে মুম্বইতে থাকে, কে মহারাষ্ট্রে থাকে, কে ওড়িশাতে থাকে, কে বিহারে থাকে, কে নেপালে থাকে, তারা সোনার কাজ করেন। ঘাটালে কি রাজ্য সরকার একটা গোল্ড হাব তৈরি করতে পারত না? তা না করে উনি বর্ধমানে ল্যাংচা হাব খুলছেন। ঘাটালের লক্ষাধিক ছেলে-মেয়ে যারা বাইরে সোনার কাজ করছেন, তাঁদের কি ঘরে ফিরিয়ে আনা যেত না? উনি যে বলেন ঘরের মেয়েকে ভোট দাও, বাংলা নিজের ঘরের মেয়েকেই চায়। বাংলা কি নিজের ঘরের ছেলে-মেয়েকে চায় না, যারা বিদেশে আছে, রাজ্যের বাইরে আছে। উনি অবশ্য চান যে তারা সারাজীবন শ্রমিকের কাজ করুন, তারা সারাজীবন বাইরের রাজ্যগুলোতে ইট-কাঠ-পাথরের কাজ করবেন, শ্রমিকের কাজ করবেন, এটাই তো ওঁনার একমাত্র স্বপ্ন এবং আশা। তাই তো পরিয়ায়ী শ্রমিকের সবচেয়ে বড় এক্সপোর্ট হয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে। 

Advertisement

এই বছর লোকসভা নির্বাচনে তাহলে কি হিরণের প্রচারের হাতিয়ার হতে চলেছে এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান?

হিরণ: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে। এরপর মানুষ ভোট দিয়ে জেতানোর পরে আমার প্রথম কাজ হবে গৃহীত প্রকল্পটাকে একমাসের মধ্যে কাজটাকে শুরু করে দেওয়া। যে ফাইলটাকে সাংসদ আটকে রেখেছিল এতদিন ধরে সেই ফাইলটাকে পদ্ধতিগতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রথম কাজ। দ্বিতীয় কাজ রেলমন্ত্রী যে রেল স্টেশন করার অনুমতি দিয়েছেন, সেই ফাইলটাকেও সাংসদ যেভাবে এতদিন ধরে আটকে রেখে দিয়েছে, সেই স্টেশনের কাজও দ্রুত আমরা শুরু করে দেব। বিদেশ থেকে বা বিভিন্ন রাজ্য থেকে যে সমস্ত ব্যবসায়ী আসেন, তাঁদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি, সবাইকে নিয়ে এসে আমরা ঘাটালে একটা উপযুক্ত গোল্ড হাব খুলব, লক্ষাধিক ছেলেমেয়ে যাঁরা ঘাটালের বাইরে সোনার কাজ করছেন, তাঁরা ফিরে আসবেন, নিজের পরিবারের কাছে থাকবেন এবং সেই গোল্ড হাবে কাজ করে তাঁরা স্বর্ণশিল্পটাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্পের জায়গায় নিয়ে যাবেন। এছাড়াও, ঘাটালে একটা মেডিক্যাল হাব খোলার ইচ্ছে রয়েছে। একটা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল খুলতে পারি, ঘাটালের মানুষ কী অপরাধ করেছে যে সেখানে একটা হসপিটাল খোলার যোগ্যতা নেই। একটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নেই। একটা মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত সেখানে নেই। বিদ্যাসাগরের বাড়ি নিশ্চয়ই জানেন, ওঁনর নামে তো কিছুই করা হয়নি, খালি ওনার নামে একটা ট্রাস্ট বানিয়ে দেওয়া হয়েছে আর সেখান থেকে টাকা নিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে। যে কোনও স্কিম এলেই এরা সেটাকে স্ক্যামে পরিণত করে দেয় আর কমিশন ছাড়া তো কোনও কাজই করে না। 

হিরণ কি শুধুই রাজনীতিতে থাকবে নাকি টলিইডে কামব্যাক করবে?


হিরণ: সেটা লোকসভার পরই সিদ্ধান্ত নেব। আমি গত ৪ বছরে ক্যামেরার কোনও মুখ দেখিনি। আমাকে মানুষ ভোটে নির্বাচিত করে পাঠিয়েছিলেন বিধানসভাতে, বিধায়ক হিসাবে, পৌরসভাতে পাঠিয়েছেন, সেই নির্বাচনেও জিতিয়েছেন মানুষ, পঞ্চায়েতে ভোট তৈরি করে দিয়েছেন মানুষ, তিন-তিনটে বছরে তিন-তিনটে নির্বাচনে মানুষ জয়দীপ্ত করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিকে আমার ওখান থেকে, আমার ঘাড়ে অনেক বেশি দায়িত্ব, লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীকে জিতিয়ে দেওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেব সিনেমা করব, কীভাবে করব, কখন করব, কার সঙ্গে করব। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement