তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সকলেই যে যার মতন করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে এই বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন সায়নী ঘোষ। প্রসঙ্গত, গতবারে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তবে এই বছর মিমিকে এই কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয়নি। বরং দল আস্থা রেখেছেন সায়নীর ওপর। আর সায়নীও এই দায়িত্ব পেয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন আগেভাগেই।
নির্বাচনের দামামা যে বেজে গিয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে। সম্প্রতি বারুইপুরে প্রচারে গিয়েছিলেন সায়নী। আর সেখানে গিয়ে নিজের হাতে মোমো তৈরি করলেন তিনি। সায়নী একটি সেলফ হেল্প গ্রুপের রন্ধনশালায় ঢুকে নিজের হাতেই বানালেন মোমো। সেখানকার সদস্যদের থেকে মোমো বানানোর পদ্ধতি শিখে নিজেই সেই কাজ করেন। এভাবেই তিনি জনসংযোগ শুরু করলেন। সেখানকার একাধিক ছবিও এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
বেশ জোর কদমেই সায়নী যাদপপুর কেন্দ্রে জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। এই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সায়নী লেখেন, মোমো বানাচ্ছি। বারুইপুরে আমাদের সেলফ হেল্প গ্রুপের স্বনির্ভর দিদিদের সঙ্গে। সায়নীকে এদিন দেখা গেল সাদা ও কালো বর্ডারের শাড়িতে, কপালে কালো টিপ ও চুল উঁচু করে বান করা। সায়নীর এই লুকস যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে অনুপ্রাণিত তা বলাই বাহুল্য। সায়নী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে যাদবপুর কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় জনসংযোগের ছবি পোস্ট করেছেন।
পায়ে স্লিপার পরেই দলের কর্মীদের সঙ্গে এই কেন্দ্রের প্রতিটি অলি-গলির সঙ্গে পরিচিতি সেরে নিচ্ছেন সায়নী। কখনও মা-বোনেদের কাছে টেনে, কখনও বা তাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলে আবার কখনও বা কোনও শিশুকে কোলে নিয়ে সায়নী বোঝাতে চাইছেন তিনি তাঁদেরই লোক। গত কয়েক বছর এই কেন্দ্রে মিমি ছিলেন সাংসদ। তবে যাদবপুর কেন্দ্রে তাঁকে খুব বেশি দেখা যেত না বলেই অভিযোগ সেখানকার মানুষদের।
মিমি যে এই বছর সাংসদ প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নন, সেই কথা কিছুদিন আগেই তিনি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। দলের বিরুদ্ধে উগরে ছিলেন একাধিক ক্ষোভও। গত ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। সেখানেই জানা যায় মিমি চক্রবর্তীকে সরিয়ে এবার যাদবপুর থেকে জোড়া ফুলের হয়ে লড়বেন সায়নী ঘোষ।