'ভোট উৎসবে' (Bengal Election 2024) মেতে উঠেছে সকলে। চায়ের দোকান থেকে অফিসের ক্যান্টিন, সবেতেই এখন আলোচনার মূল বিষয়বস্তু , নির্বাচন। বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় তিন দশক ধরে দাপিয়ে কাজ করেছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও তিনি সমানভাবে জনপ্রিয়। এবার রচনার কাঁধে এসেছে বাড়তি দায়িত্ব। হুগলী লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল- কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন। জোর কদমে চলছে প্রচার।
বর্তমানে বেশ আলোচনায় থাকেন রচনা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি থাকেন চর্চায়। একদিকে যেমন বাংলার 'দিদি নম্বর ১' ভোটে দাঁড়ানোয় দারুণ খুশি ফ্যানেরা, সেরকম আরেক দল আবার কিছুটা আশাহত হয়েছেন। তারা মনে করছেন, শুধু বিনোদন জগতে থাকলেই পারতেন রচনা। অভিনেত্রীর করা নানা রকম মন্তব্য এই মুহূর্তে ভাইরাল।
বঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই প্রচণ্ড গরমে প্রচারের মাঝে রচনা কতটা মেনে চলছেন ডায়েট? নিজেকে সুস্থ রাখতে রোজকার মেনুতে কী থাকছে তাঁর? ডায়েট, স্টাইল স্টেটমেন্ট, ট্রোলিং থেকে নির্বাচনের খুঁটিনাটি bangla.aajtak.in -র সঙ্গে শেয়ার করলেন রচনা।
প্রশ্ন: এত চাপ যাচ্ছে, কেমন আছেন?
রচনা: ভাল আছি। ঠিক আছি।
প্রশ্ন: ভোট উৎসবে ডায়েটেও আমূল পরিবর্তন হয়েছে। কতটা মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে ডায়েট?
রচনা: একেবারে হালকা খাবার খাই। ফল, ডাবের জল, দই, এসবই খাই। জল খাওয়ার পরিমানটা একটু বাড়াতে হয়েছে।
প্রশ্ন: বাড়ির থেকে বেশিরভাগ সময় দূরে থাকতে হচ্ছে, মেনুতে কী কী থাকছে?
রচনা: যাতায়াতের মধ্যে আছি। হুগলীতে যেখানে থাকি, সেখান থেকে খাবার বানিয়ে নিয়ে যাই। আর দুপুরবেলা তো পার্টি অফিসে খাই। ওরা যা দেয়, সেটাই খেতে হয়। তবে সেটাও খুব হালকা খাবার, ঘরের তৈরি রান্না হয়।
প্রশ্ন: প্রচারের ফাঁকে ঘুগনী, দই, নানারকম খাবার খাচ্ছেন আপনি। স্ট্রিট ফুড কি বরাবরই প্রিয়?
রচনা: এমনি খুব ভালোবাসি। তবে ওখানে যেভাবে মানুষ আসছে, ভালোবাসা দিচ্ছে, তাই একটু টেস্ট করা আরকি।
প্রশ্ন: কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
রচনা: খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। এবার দেখতে হবে, ভোটের সময় কী হয়।
প্রশ্ন: রাজনৈতিক কেরিয়ারের পাশাপাশি আপনি তো গ্ল্যামার জগতের সঙ্গে যুক্ত। স্কিন বা হেয়ারকেয়ার সম্ভব হচ্ছে?
রচনা: স্কিনকেয়ার বলতে, এখন সানস্ক্রিন ছাড়া তো আর কোনও উপায় নেই। এছাড়া টুপি পরা বা মাথায় একটা কাপড় জড়িয়ে রাখা, এই দু- তিনটে জিনিস ছাড়া কিছু করার উপায় নেই।
প্রশ্ন: ভোটের প্রচারে আপনার স্টাইল স্টেটমেন্ট সকলের নজর কাড়ছে... নিজেই ডিজাইন করেছেন?
রচনা: ওভাবেই আমার ব্লাইজগুলো তৈরি করা হয়েছে। নিজেই ডিজাইন করেছি। যতটা ঢেকে রাখা যায় আরকি...এছাড়া শাড়ি- ব্লাউজ সব কিছু একদম সুতির পরছি।
প্রশ্ন: যে সব শাড়ি পড়ছেন, তা কি আপনার ব্যবসারই?
রচনা: হ্যাঁ একদম আমার নিজস্ব।
প্রশ্ন: এসময় ব্যবসায় কতটা সময় দিতে পারছেন?
রচনা: আমার স্টাফেরা সব দেখাশোনা করছে। আমি যোগাযোগ রেখে বলে দিচ্ছি। একটু তো অবহেলিত হচ্ছেই সব কিছু। আবার জুন মাসের পর সবটা ঠিক হবে। তবে কোনওটাই বন্ধ হবে না। সবই চলবে...
প্রশ্ন: এত প্রশংসার মাঝেও বারবার ট্রোলড হচ্ছেন, অনেকে বলছে 'নেগেটিভ পাবলিসিটি'...
রচনা: লোকে তো এখন ভাল কথাগুলো দেখে না, আজেবাজে কথা নিয়ে যতটা পাবলিসিটি করা যায় বা মিম তৈরি করা যায়, এটাই এখন মানুষের লক্ষ্য। সেটাই এখন তারা করে যাচ্ছে। এগুলো সব এতটা ভাবলে বা মাথায় রাখলে কাজটাই করতে পারব না। মানুষের কাজ মানুষ করে যাবে, আমার কাজ আমায় করে যেতে হবে।
প্রশ্ন: হুগলীতে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী লকেট চট্টোপাধ্যায় যথেষ্ট দাপুটে। প্রতিযোগিতা বা লড়াই কতটা কঠিন?
রচনা: খুব কঠিন। সে তো একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ এবং শাসক দলের সাংসদ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে কোনওভাবেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। কখনও প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছোট ভাবতে নেই। মনে রাখতে হবে, তাঁর সেই ক্ষমতা আছে বলেই শাসক দলের সাংসদ। আমি নিশ্চয় আমার মতো করে চেষ্টা করব। হলে হল, না হলে না হবে।
প্রশ্ন: আপনার রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি একটু বেশি বড় চ্যালেঞ্জ দিয়ে ফেললেন?
রচনা: হ্যাঁ, তবে যখনই শুরু হত, তখন তো শুরুই হত। নতুন হয়েই তো শুরুটা করতে হত। সিনিয়র হতে অনেকটা সময় লাগে।
প্রশ্ন: অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে, এবার কি 'দিদি নম্বর ১' বন্ধ হবে?
রচনা: না চলছে তো। আমি তো শ্যুটও করছি। যতদিন পারব, করব। ইচ্ছে আছে দুটো একসঙ্গেই চালানোর। এবার দেখা যাক...
প্রশ্ন: এত ব্যস্ততার মধ্যে ছেলেকে কীভাবে সময় দিচ্ছেন?
রচনা: সব কিছু তো পাওয়া যায় না, একটু অবহেলিত হচ্ছেই। এখন ক্লাস টুয়েলভ। পরের বছর তো বাইরে চলে যাবে, বাইরে পড়াশোনা করবে।