Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন

দুর্গা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কে দিলীপ, BJP-র মহিলা মোর্চার উত্থানে কিন্তু কপালে ভাজ মমতারও

সুমনা সরকার
  • 18 Feb 2021,
  • Updated 3:55 PM IST
  • 1/10

'রামের পূর্বপুরুষের নাম আছে, দুর্গার পাওয়া যাবে?' ইন্ডিয়া টুডে কনক্সেভে এক বিতর্ক সভায় অংশ নিয়ে এমনি মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। দিলীপের এহেন বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে এরপরেই রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়। দুর্গাকে অপমান করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি, এমনি অভিযোগ তোলে তৃণমূল শিবির। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি যতই দুর্গাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করুন বাংলায় গেরুয়া শিবিরের নারী বাহিনী কিন্তু নিজের পরাক্রম দেখিয়ে চলেছে। রূপা থেকে লকেট হয়ে যার পতাকা এখন বহন করে চলেছেন অগ্নিমিত্রা। বলতেই হবে এবারের নির্বাচনে দলের এই মহিলা মোর্চাই কিন্তু হতে চলেছে শাহ-নাড্ডাদের বঙ্গ জয়ের অন্যতম হাতিয়ার।

  • 2/10

লকেট চট্টোপাধ্যায়
বঙ্গ বিজেপির উত্থানে অবদান রয়েছে মহিলা মোর্চার। আর দলের মহিলা মোর্চার কথা বলতে গেলে নাম নিতেই হবে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখলেও ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দেন লকেট। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে হেরে গেলেও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে জিতে সবাইকে চমকে দেন তিনি। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী থাকাকালীন মাঠে-ময়দানে লড়াই করতে দেখ গেছে লকেটকে। নানা জায়গায় বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে দলীয় সাংগঠনিক কাজে একেবারে নাছোড়বান্দা। পদ্মশিবিরের মহিলা নেত্রী হিসাবে বাংলার রাজনীতিতে যথেষ্ট ছাপ ফেলেছেন টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী। 

  • 3/10

অগ্নিমিত্রা পাল
গত লোকসভা ভোটের ঠিক আগে  ২০১৯ এর মার্চে বিজেপিতে যোগ দেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল। নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়েই তার গেরুয়া শিবিরে আগমন বলে জানিয়েছিলেন অগ্নমিত্রা। তিনি দলে যোগ দেওয়ার পর শোনা গিয়েছিল লোকসভা ভোটে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হবেন তিনি। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী মিমির বিরুদ্ধে অনুপম হাজরাকে দাড় করায় বিজেপি। টিকিট না পেয়ে অগ্নিমিত্রা অবশ্য বলেছিলেন সমাজসেবাকে আরও বড় আকারে করতেই বিজেপিতে তিনি যোগ দিয়েছেন। ২০২০ এর জুনে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রধান হন। লকেটের ছেড়ে যাওয়া আসন ভালই সামালাচ্ছেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্র

  • 4/10

দেবশ্রী চৌধুরী
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ২টি আসন পেয়েছিল মোদীবাহিনী। উনিশে সেই সংখ্যাটা লাফিয়ে বেড়ে হয়েছিল ১৮। কিন্তু এই ‘অভাবনীয়’ উত্থানের পরও মোদীর মন্ত্রিসভায় বাঙালি মুখ ছিল মাত্র ২। আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন  দেবশ্রী চৌধুরী। লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে লড়ে জয়ের হাসিল করা বিজেপি নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরী কিন্তু নাড্ডা-শাহদের কাছের লোক হিসাবেই পরিচিত। রায়গঞ্জের রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চা দলের প্রধান ছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। গত লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে নিজের কেন্দ্রের  দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সিপিএমের মহঃ সেলিম এবং কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সিকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করেছিলেন দেবশ্রী তাতে তার সাংগঠনিক গুণের পরিচয় পাওয়া যায়। ৫০  বছর বয়স দেবশ্রীর। তার মধ্যে প্রায় ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবন। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। এবারের ভোট বাংলাতেও ভাল রকম সক্রিয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিটি জনসভাতে নিয়ম করে হাজির থাকতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। 

  • 5/10

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
বাংলায় বিজেপি তখনও সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি, সেই সময় দলের হাল ধরেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে লকেটের মত রূপাও বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে খবরের শিরোনামে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর হাত ধরে বিজেপির মহিলা মোর্চা লাইমলাইটে এসেছিল। সেই সময় কোমরে আঁচল গুঁজে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে বিডিও অফিস , সরকারি দফতর, চৌরাস্তার মোড়ে বসে পড়তে দেখা যেত তাঁকে। এমনকি সেবার কলকাতা পুরভোটে রূপাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। শোনা যাচ্ছিল জিতলে তাঁকেই মেয়র পদে বসানো হবে। অনেকেই তাঁকে বিজেপির 'দিদি' ডাকতেও শুরু করে দিয়েছিলেন। যদিও শেষপর্যন্ত কলকাতার ভোটার না হওয়ায় পুরো ভোটে লড়তে পারেননি রূপা। এরপর ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন হাওড়া উত্তর কেন্দ্রে। তবে হেরে যান তৃণমূলের প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লর কাছে। সেবার বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হলেও বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী হিসেবে রাজনীতির ময়দানে রূপার উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট নজরকাড়া। অভিনেত্রী রূপা শুধু রাজনীতি করাই নয়, রাজনীতির ‘বেশভূষা’ নিয়েও নিজস্ব নজির তৈরি করেছিলেন। গেরুয়া শিবিরের নেত্রী হওয়ার পর গলায় রুদ্রাক্ষের মালা কিংবা পরনের শাড়ির রং নির্বাচনও জনতা এবং দলের নেতাদের নজর এড়ায়নি। ২০১৬ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হন রূপা। তারপর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে আর তেমন ভাবে পাওয়া যায়নি রূপাকে। তবে পরিবর্তন যাত্রার মধ্যে দিয়ে ভোটের আগে ফের রাজনীতির মঞ্চে অবতীর্ণ হয়েছেন মহাভারতের দ্রৌপদী। আর ময়দানে নেমে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করাও শুরু হয়ে গিয়েছে। 

  • 6/10

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়
২০১৯ সালে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ শোভন-বৈশাখী ময়দানে দেখা না গেলেও ফের বিধানসভা ভোটের আগে সক্রিয়া হয়েছেন তাঁরা। অধ্যাপিকা হিসাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে পরিচিতি রয়েছে বৈশাখীর। ভোটের আগে সুচারু ভাবে তা ব্যবহার করতে পারে গেরুয়া শিবির। 

  • 7/10

ময়দানে রূপাঞ্জনা-কাঞ্চনারাও
২০১৯ সালের ১৮ জুলাই  নয়াদিল্লিতে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সদর দফতরে গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন পার্নো মিত্র, ঋষি কৌশিক, অরিন্দম হালদার, কাঞ্চনা মৈত্র, সৌরভ চক্রবর্তী, রূপাঞ্জনা মিত্র, মৌমিতা গুপ্ত, বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবরঞ্জন নাগ এবং রূপা ভট্টাচার্য। সেটাই ছিল সেই সময়ে রাজ্যে টলি তারকাদের বিজেপিতে সবচেয়ে বড় যোগদান। 

  • 8/10

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর কাঞ্চনা, রূপাঞ্জনা, রূপাদের কিন্তু দেখা গিয়েছে বিজেপির বিক্ষোভ আন্দোলনে ময়দানে নামতে। ঠিক তৃণমূল যেভাবে তারকাদের মাঠে নামিয়েছে বিজেপিও পাল্টা দিতে সেই গেমপ্ল্যানই আমদানি করেছে। 
 

  • 9/10

এবার মহিলা মোর্চার শক্তি বাড়াবেন পাপিয়-সৌমিলিরাও
গত কয়েকদিন হল টলিউড ও টেলিভিশনের একাধিক পরিচিত মুখকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল। বলাই বাহুল্য ভোটরাজনীতির আবেহেই রাজনীতিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এই সক্রিয়তা। তার পাল্টা দিয়ে দিল বিজেপি। বুধবার নায়ক যশ দাশগুপ্ত ছাড়াও গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলী বিশ্বাস, মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। বঙ্গ ভোটের আগে মহিলা মোর্চার হয়ে এবার পাপিয়া, সৌমিলিদের দেখা যাবে ময়দান গরম করতে।

  • 10/10

কী ভাবছেন মমতা?
নারী শক্তির ওপর বরাবরই ভরসা রেখেছেন মমতা। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তালিকায়  ৪১ শতাংশ মহিলা প্রার্থী রাখা হয়েছিল। মমতার দলে সবসময় সক্রিয়া ভূমিকায় দেখা যায় মহিলা ব্রিগেড-কে। গ্ল্যামেরর সঙ্গে রাজনীতির এক অসাধারণ মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। মমতার সেই চালকেই  এবার বিজেপি তাদের তুরুপের তাস করে এগোতে চাইছে। তাই তৃণমূল যতই বিজেপিকে নারী বিদ্বেষী দল বলে কটাক্ষ করুক না কেন গেরুয়া শিবিরের মহিলা মোর্চা কিন্তু আসন্ন ভোটে দিদিমণিকে চাপে ফেলবে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল। 

Advertisement
Advertisement