৪ জনের মৃত্যুর জেরে খবরের শিরোনামে এসেছে 'অখ্যাত' শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্র। কোচবিহার লোকসভার অন্তর্গত এই কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে রাজ্যের মানুষ। একনজরে দেখে নেব এই কেন্দ্রের হাল-হকিকত।
শীতলকুচি ও ২০২১ নির্বাচন
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে এই কেন্দ্রটি শীতলকুচি ব্লক এবং বৈরাগীরহাট, গোপালপুর, জোরপাতিকি, কেদারহাট, কুরসামারি, নায়ারহাট, শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি মাথাভাঙ্গা-১ সিডি ব্লকের অন্তর্গত।
২০২১ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৩৩ জন। বুথ সংখ্যা ৪০০টি। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ ভোটার তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ২৫ শতাংশ মুসলিম ভোটার রয়েছে। কোচবিহার জেলায় এবার ১৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
২০২১-এর প্রার্থী
এবছর এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পার্থপ্রতিম রায়। BJP-র তরফে দাঁড়িয়েছেন বরেণচন্দ্র বর্মন। সুধাংশু প্রামাণিক লড়ছেন সংযুক্তা মোর্চার তরফে।
২০১৬ বিধানসভার ফলাফল
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী হিতেন বর্মন। সেবার তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন CPIM প্রার্থী নমদীপ্তি অধিকারী। তৃতীয় স্থানে ছিলেন BJP প্রার্থী বরেণচন্দ্র বর্মন। জয়ী প্রার্থী হিতেন পেয়েছিলেন ৪৪.১৮ শতাংশ ভোট। বামেদের প্রার্থী পেয়েছিলেন ৩৭.৪৫ শতাংশ ভোট।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচন ও বদলে যাওয়া সমীকরণ
আগে কোচবিহার লোকসভা আসনটি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। তবে ২০১৯ সালে এই আসন থেকে জেতেন BJP-র নিশীথ প্রামাণিক। তিনি প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোট পান। এই লোকসভার অন্তর্গত শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে যদিও এগিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনি পেয়েছিলেন, ১০৯৭৭১টি ভোট। সেখানে BJP প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১০৮৫৪১টি। লোকসভা ভোটের নিরিখে এই আসনে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও আগের থেকে এই কেন্দ্রে সংগঠন মজবুত করে BJP।
দিলীপ ঘোষকেও আক্রান্ত হতে হয় শীতলকুচিতেই
ভোটের কয়েকদিন আগে থেকেই খবরে ছিল শীতলকুচি। বুধবার শীতলকুচিতে প্রচার সেরে ফেরার পথে হামলার মুখে পড়েন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷
২০১৯ লোকসভা ভোটের পর থেকেই এলাকার ক্ষমতা দখল নিয়ে বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে শীতলকুচি কেন্দ্র। ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেই এই বিধানসভার নলগ্রাম এলাকায় তৃণমূল ও BJP-র মধ্যে সংঘর্ষ হয়।