এতদিন একথা শোনা যেত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এবার সেই একই ধরনের কথা শোনা গেল আইএসএফ (ISF) প্রধান আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddiqui) মুখেও। বাঁকুড়ার (Bankura) সাড়েঙ্গায় এক নির্বাচনী সভায় যোগ গিয়ে আব্বাস বলেন, "ভোটের দিন যদি কেউ ৫০০ টাকা আর ২ কেজি চাল দেয়, তাহলে আপনারা হয়ত ভাববেন সেটাই দরকার। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সঙ্গ দিয়ে কখনও খুশি হতে পারবেন না। যারা আজ ৫০০ টাকা দিয়ে আপনার ভোট কিনছে, আগামিদিনে তারাই ৫ হাজার টাকায় আপানাকে বিক্রি করে দেবে। ওদের অনেক দেশ লুঠ করা পয়সা আছে, আমফানের চাল চুরির পয়সা আছে, যা দেবে নিয়ে নেবেন। কিন্তু ভোটটা সংযুক্ত মোর্চাকে দেবেন।"
রাজ্য সরকারের মা প্রকল্প ও পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার কর্মসূচিকেও এদিন নিশানা করেন আব্বাস। তিনি বলে, "৫ টাকায় জিম ভাত খাওয়ানো উন্নয়ন নয়। যখন প্রতিটা বাচ্চা পড়াশোনা করবে, প্রত্যেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে সেটাই হবে উন্নয়ন।" পাশাপাশি ট্যাব দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সাড়ে ৪ বছর ধরে লুঠবে আর ২ মাস আগে একটা খেলনা ধরিয়ে দেবে।" একইসঙ্গে 'খেলা হবে' স্লোগানের বিরুদ্ধেও এদিন আক্রমণ শানান আব্বাস। তাঁর কটাক্ষ, "এখন বলছে খেলা হবে। দিদি বলছে আমি গোলরক্ষক। পায়ে চোট পেয়ে হুইলচেয়ারে বসে আছেন, পটাপট গোল খাবেন।"
এনআরসি ইস্যুতে এদিন একযোগে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা। তিনি বলেন, "এটা একটা ষড়যন্ত্র। আর বাংলায় এই ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য যিনি সহজে রাস্তা করে দিয়েছেন তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বাংলায় যেখানে বিজেপি ছিল না, হিন্দু মুসলমান ভেদাভেদ ছিল না, সেখানে তিনি বিজেপিকে জায়গা করে দিয়েছেন। দিদিমণিকে বিশ্বাস করা ভুল হয়েছে।" উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আব্বাসের আবেদন, "এই মিথ্যুকদের বিশ্বাস করবেন না।" অন্যদিকে এদিন পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালনের আবেদন জানান তিনি। একইসঙ্গে ক্ষমতায় এলে পুলিশ প্রশাসনের কর্মীদের ৫০ থেকে ৬০ ছুটি দেওয়ার দেওয়ার ইঙ্গিতও দেন আব্বাস।