সংযুক্ত মোর্চার অভ্যন্তরীণ বিবাদ ও মতপার্থক্য যেন মিটেও মিটছে না। আসন বণ্টন নিয়ে প্রথম থেকেই আইএসএফ (ISF) ও কংগ্রেস (Congress)mur বিশেষত অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) মধ্যে দড়ি টানাটানি ছিল। মাঝে সেই ইস্যু কিছুটা ধামাচাপা পড়লেও ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল আসন নিয়ে কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর মধ্যেকার বিবাদ। নির্বাচনের ৬ দফা মিটে যাওয়ার পরে এই বিবাদ নতুন করে সামনে আসায় সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যত নিয়েও ফের উঠতে শুরু করল প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোটের দিন অধীর চৌধুরীর জেলায় নির্বাচনী প্রচারে যান আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddiqui)। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না করে অধীরের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন আব্বাস। তিনি বলেন, 'জোট না হলেও আপনাদের বহু প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছি। উনি সব একা নেবেন। আমার সন্দেহ হচ্ছে ভিতরে ভিতরে সেটিং হয়ে বসে আছে। কম পড়লে শরিকের সহযোগিতা করতে পারে।' আব্বাসের এহেন মন্তব্যের পরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় বঙ্গ রাজনীতিতে। প্রশ্ন উঠতে থাকে, ভোটের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে আব্বাসের এই ধরনের মন্তব্য কি সংযুক্ত মোর্চার কর্মী সমর্থক এবং অবশিষ্ঠ দুই দফার ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে না?
আর এবারই প্রথম নয়, এর আগে সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেড সমাবেশেও প্রকাশ্যেই এই ধরনের কথা শোনা যায় আব্বাস সিদ্দিকীর মুখে। তিনি বলেন, "ভাগিদারী করতে এসেছি তোষণ করতে নয়।" সেই মন্তব্যকে ঘিরেও রীতিমতো জলঘোলা হয়। এমনকী আব্বাসের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জোটকে কটাক্ষ করে তৃণমূল - বিজেপিও। আর এবার ফের একবার তেমনই কথা শোনা গেল আইএসএফ প্রধানের মুখে।
যদিও আব্বাস সিদ্দিকীর এই ধরনের মন্তব্যকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস। আইএসএফ প্রধানের বৃহস্পতিবারের মন্তব্যের প্রক্ষিতে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন,'আব্বাস সিদ্দিকী তাঁর মতো করে, তাঁর যা মনে এসেছে বলেছেন। কিন্তু এই জেলার মানুষ সুখ দুঃখের সাথী অধীর চৌধুরীকে চেনেন। ফলে মানুষের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। গুরুত্ব দেওয়ারও কিছু নেই।' যদিও রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে আব্বাসের কথায় আদও কোনও প্রভাব পড়ল কি না, তা বোঝা যাবে ভোটের ফলাফলে।