বামফ্রন্ট (Left Front) এবং কংগ্রেস (Congress) জোটে শামিল হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি (Abbasuddin Siddiqui) এবং তাঁর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front)। মঙ্গলবার বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে জোটের তরফ থেকে তার জন্য দরজা খোলা রয়েছে।
কিন্তু তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানান ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি (Abbasuddin Siddiqui)। তৈরি করেছেন রাজনৈতিক দল যার নাম ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front)। বুধবার এ ব্যাপারে তিনি জানান, এটা এখনও পর্যন্ত ঠিক না যে বাম এবং কংগ্রেসের জোটে আমরা থাকব কিনা। তাঁরা রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনে বিধানসভা ভোটে লড়বেন বলে ঠিক করেছেন।
এদিন তিনি আরও জানান, তার দরকার বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে একটি কৌশলগত জোট। যেখানে বাম কংগ্রেস লড়বে, সেখানে সাহায্য করবে আমাদের দল। অন্যদিকে যেখানে আমরা লড়ব, সেখানে বাম-কংগ্রেস জোট আমাদের সাহায্য করবে। তবে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে একটা বোঝাপড়া করতে হবে।
আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি (Abbasuddin Siddiqui) বলেন, তার দলের আমাদের দলের হারানোর কিছুই নেই। হয় পাব, নয় শিখব। এদিন তিনি তৃণমূল এবং বিজেপিকে একসঙ্গে আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি রাজ্যের মানুষ দুটি দলকেই অপছন্দ করে। তৃণমূল দুর্নীতিতে এবং অপশাসনে ভরে গিয়েছে। আর অন্যদিকে কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তারা জনবিরোধী নীতি নিয়েছে এবং তাই জন্য মানুষের রোষানলে পড়েছে।
তাঁর দল কী করতে চায়, সে ব্যাপারেও জানিয়েছেন তিনি। আব্বাস বলেন, আমাদের দল রাজ্যে ৭০ থেকে ৮০টা সিটে লড়তে চায়। এবং পিছিয়ে পড়া, শোষিত, দলিত মানুষের উন্নয়ন এবং বিচারের জন্য লড়তে চায়।
এদিন আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি (Abbasuddin Siddiqui) বলেন, বাংলার মানুষকে নতুন দিশা দেখাতে হবে। নতুন আশা দেখাতে হবে। তাঁর মতে, আমি যদি আশার আলো দেখাতে না পারি, তাহলে বাংলার মানুষ কী করে লড়াইয়ের রসদ পাবেন।
বাম এবং কংগ্রেসের জোট নিশ্চিত। তারা বেশিরভাগ আসন নিয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। তবে আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি এবং আরও ছোট ছোট দলের সমর্থন চায় তারা। তার জন্য কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাম-কংগ্রেস জোটের শেষ বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি বা তার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front)-এর কোনও প্রতিনিধির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা আর হয়নি। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কোনও প্রতিনিধি ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে।