অভিষেক বলেন, যারা পাল্টিবাজি করে বিজেপিতে গিয়েছেন, তাদের জানিয়ে রাখি ক্ষমতায় আসবে আবার হাওয়াই চটি। আমাদের দেশপ্রেম শেখাতে হবে না। যারা বাংলাকে কলুষিত করছেন, তাদের কড়ায়গণ্ডায় আগামী দিন বাংলার মানুষ জবাব দেবেন। আগামী দিন এই এলাকায় ৬টি বিধানসভা চষে বেড়াব।
অভিষেক বলেন, যারা বলছে বাংলাকে নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিতে হবে, তাদের বলছি বাংলা কি মোয়া। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে কোনও চোর ধরা পড়ে না। কারণ সরকার ওদের। টিভি পর্দায় কাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তাহলে আসল তোলাবাজ কে? এখন নিজের পরিবারে পদ্মফুল ফোটাতে পারছ না, আবার বাংলায় পদ্ম ফোটানোর স্বপ্ন দেখছ। এরা বেইমান। দলে খেয়ে-পড়ে দলের সঙ্গে গদ্দারি করছ। আমি বলেছিলাম, নিজের পরিবারের কাউকে পদ্মে জয়েন করাতে পারছ না। তারপরেই দেখি একভাইকে নিয়ে এসে জয়েন করিয়ে দিল। এতে প্রমাণ হয় তোমার পরিবারে আরও এমন উপসর্গহীন কেউ থাকতে পারে। এতে আমাদেরই সুবিধা হল।
অভিষেক বলেন, নরেন্দ্র মোদীর যে গাড়িতে চড়়ে তার দাম ৬ কোটি টাকা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনযাপনে কোনও পরিবর্তন হয়নি। নোটবন্দি ও জিএসটির লাইন ছিল ভয়ের। কিন্তু দুয়ারে সরকারের লাইন হচ্ছে ভরসা ও আশার
অভিষেক বলেন, দিল্লি পরিচালনা করবে দিনাজপুরকে ? সভা মঞ্চ থেকে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, বলছে তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। আমার তোলাবাজির অভিযোগ যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, আমার জন্য ফাঁসিকাঠ তৈরি রেখ, আমি মৃত্যুবরণ করব। আমার পিছনে ইডি-সিবিআই দিতে হবে না। আমি নাম করে বলছি কৈলাস বহিরাগত। ওনার ছেলে আকাশ গুণ্ডা, দিলীপ ঘোষ গুণ্ডা, অমিত শাহ বহিরাগত , দিল্লি নেতারা বহিরাগত।
অভিষেক বলেন, যারা বাংলা পড়তে-লিখতে পারে না। মঞ্চে কি লেখা আছে, সেটাও বলতে পারে না। যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান দেয় না, যারা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে। যারা দিল্লি থেকে নেতা নিয়ে আসে বাংলা দখল করার তাদের মানুষ জবাব দেবে
অভিষেক বলেন মোদী বনাম দিদি রিপোর্ট কার্ড পেশ করুন। উন্নয়নে আপনাদের ১০ গোল দেওয়া হবে। বাংলা রক্ত দিতে প্রস্তুত, বাংলা দিল্লির কাছে মাথা নত করবে না
অভিষেক বলেন, ওরা ভাবছে , যে কায়দায় মধ্যপ্রদে-গুজরাত দখল করেছে, সেই কায়দায় বাংলা দখল করবে। কিন্তু আদতে তা হবে না। আগামী নির্বাচনে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবে। ক্ষমতা থাকলে নরেন্দ্র মোদী ৭ বছরে কী করেছেন তার রিপোর্ট কার্ড পেশ করুন
অভিষেক বলেন, নির্বাচন শুরু হলে পরিযায়ী নেতারা দিল্লি থেকে আসছ। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাংলা পড়তে, লিখতে জানেন না। তিনি কি বাংলার ভূমিপুত্র ? কিছু চাটুকার নেতা বাংলাকে দিল্লি ও গুজরাতের হাতে বন্ধক রাখতে চাইছে
অভিষেক বলেন, ভারতের ভূখণ্ড দখল করার যার সাহস হবে তাকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দিতে। হবে। কিন্তু পুলওয়ামায় ৪০ জন সেনার প্রাণ নিয়ে এল সেই ব্যাপারে কি করছে । চায়না আমাদের ভূখণ্ড দখল করেছে, এখন মোদী সরকারের কাছে কোনও জবাব নেই। এখন চুন চুন কে জবাব দেওয়া হবে।সেই কথা এখন কোথায়। আমরা চাই পাকিস্তানের লাল চোখ গুড়িয়ে ফেলা হোক। তার সঙ্গে চায়নাকে জবাব দেওয়া হোক।
অভিষেক বলেন, সব চোর বিজেপির দলে। বিজেপি এখন চোরের দলে পরিণত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী সভা করে বলেছিলেন চোর-ডাকাত কাউকে ছাড়া হবে না। কিন্তু এখন দেখা হচ্ছে সব চোর -ডাকাত দল বেধে তাদের দলে গিয়েছে