'কোচবিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক', বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। অধীর বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘাতের বলি হতে হল চারজনকে। ৮ দফায় নির্বাচন হলেও তা শান্তিপূর্ণ ও অবাধ হচ্ছে না। বাংলার ভাবমূর্তি ভারতবর্ষের কাছে কলুষিত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংঘাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উস্কানি দিচ্ছেন। সংঘাত ও খুনোখুনির রাজনীতি বাংলার মানুষকে আতঙ্কিত করছে।' ঘটনা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করার পাশাপাশি পরবর্তী দফার নির্বাচনগুলিতে কমিশনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ এবং সতর্কতা অবলম্বন করার আবেদন জানান অধীরবাবু।
চতুর্থ দফার নির্বাচনেই কোচবিহারের শীতলকুচিতে (Shitalkuchi Firing) কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এই বিষয়ে রাজ্যের এডিজিপি জানিয়েছেন পেট্রোলিং-এ থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। জওয়ানদের ওপরে হামলা চালানো হয়। চেষ্টা করা হয় রাইফেল কেড়ে নেওয়ার। এরপরেই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান জওয়ানরা। যার জেরে মৃত্যু হয় ৪ জনের।
মোটামুটি একই কথা বলা হয়েছে বাহিনীর তরফেও। জানা গেছে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে মিলে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট পরিচালনা করছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই এক শিশু অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। অভিযোগ, এরপরেই জওয়ানদের ওপর হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চালান হয় গাড়িতেও। প্রথমে জওয়ানরা আত্মরক্ষার্থে শূন্যে ৬ রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান সিআইএসএফ-এর কম্যান্ডারও। উত্তেজিত জনতার সামনে চলে আসেন তিনি।
এর প্রায় ঘণ্টা খানেক পর প্রায় ১৫০ জনের একটি দল বুথে ভোট কর্মীদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বুথে কর্তব্যরত হোমগার্ড, আশাকর্মীদেরও মারধর করা হয়। সিআইএসএফ-এর কম্যান্ডার জনতকে সরাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। জওয়ানদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে শূন্যে ২ রাউন্ড গুলি চালায় বাহিনী। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বরং ফের হামলা চালায় জনতা। এরপর জনতাকে সতর্ক করতে ৭ রাউন্ড গুলি চালান জওয়ানরা। কিন্তু তাতেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি জনতাকে। এরপরেই নিজেদের বাঁচাতে গুলি চালায় বাহিনী। তাতেই ঘটে যায় ওই ঘটনা।