গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে পূর্বস্থলীতে প্রথম জনসভা সেরেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার ওই একই জায়গায় সভা করতে চলেছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুজাতা মণ্ডল খাঁ। এক বাংলা সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
একই জায়গায় সভা সুজাতার
আচমকা শুভেন্দুর সভাস্থলে সুজাতা কেন তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলীর ওই একই জায়গায় তৃণমূলের সভায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে থাকবেন সুজাতা মণ্ডল খাঁ। ইতিমধ্যে সুজাতাকে ডির্ভোসের নোটিশও পাঠিয়ে দিয়েছেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ও বিষ্ণপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেখানে তিনি অভিযোগ এনেছেন, গত ৬ মাস হল স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকছিলেন। গত ৭ দিন দু'জনের কোনও কথা হয়নি। শুধু যোগাযোগের মাধ্যম ছিল হোয়াটসঅ্যাপ।
আরও পড়ুন, শুভেন্দুর খাসতালুকে আজ তৃণমূলের সভা, অধিকারী পরিবারের বাকিরা কি থাকবেন?
সৌমিত্রর আইনজীবী নোটিসে লেখেন, তাঁর মক্কেল বুঝতে পেরেছেন যে সুজাতা হাইপারটেনশনে ভোগেন এবং ঝগড়ুটে স্বভাবের মানুষ। বিয়ের পর থেকে সৌমিত্রকে পরিবারের থেকে আলাদা করার মন্ত্রণা দিয়ে চলতেন সুজাতা। সৌমিত্রর বাবা-মা এবং আত্মীয়দের সঙ্গেও ঝগড়া করতেন এবং তাঁদের গায়ে হাতও দিয়েছেন সুজাতা। বিয়ের পর থেকেই সৌমিত্রর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতেন সুজাতা। তাঁকে গালিগালাজ করতেন এবং এমনকি মারধরও করতেন। এমনকি তাঁকে নিজের বাড়ি থেকেই তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এমন অভিযোগও আনা হয়েছে নোটিসে।
বেড়েছে সুজাতার নিরাপত্তা
অন্যদিকে সুজাতারও নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে সুজাতার সবসময়ের সঙ্গী থাকবেন তিন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী, এমনটাই জানা যাচ্ছে। গতকাল পূর্বস্থলীর সভা থেকে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে একের পর এক আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিন বলেন, এদিন সভায় শুভেন্দু বলেন, "দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিজেপি। অমিত শাহের উপস্থিতিতে আমাকে গ্রহণ করেছে। আমি আগের দলের সব পদ ছেড়ে দিয়ে, একজন সাধারণ ভোটার হিসাবে এই রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছি। আমাকে যারা বিশ্বাসঘাতক বলছেন, তাদের বলি ১৯৯৮ সালে তৃণমূল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে পরবর্তী কয়েকটি নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কারা জোটে ছিলেন। সেই সময়ে অটল বিহারী বাজপেয়ি ও লালকৃষ্ণ আডবানি আশ্রয় না দিলে এই দলের কী হত। সেই সময়ে বিজেপির আশ্রয় না পেলে তৃণমূল দলটাই উঠে যেত।"