আগামিকাল শনিবার রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। রাজ্যের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার মোট ৪৫টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। এই দফায় নদিয়ার যে কটি আসনে ভোট হবে তার মধ্যে রয়েছে শান্তিপুরও (Santipur)। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে এই পর্বের নির্বাচনে বিশেষ ভাবে নজরে থাকতে চলেছে শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র। আর তার নেপথ্যে রয়েছে বেশকিছু কারণ।
১৯৯১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নদিয়ার শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল কংগ্রেসের। টানা ৫ বার কংগ্রেসের টিকিটে ওই কেন্দ্রে জেতেন এলাকার হেভিওয়েট নেতা অজয় দে (Ajoy Dey)। তবে পরবর্তীকালে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয় অজয়বাবুর। এরপর ২০১৩ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। একইসঙ্গে ইস্তফা দেন বিধায়ক পদেও। যার জেরে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। সেই উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে ফের ওই কেন্দ্রের বিধায়ক হন অজয় দে। তবে ২০১৬ সালের নির্বাচনে অজয়বাবুর বিজয়রথ থামিয়ে দেন অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya)। কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে শান্তিপুর আসনটি অজয়বাবুর থেকে ছিনিয়ে নেন অরিন্দম।
কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেও তারপরে অবশ্য বেশিদিন ওই দলে থাকেননি অরিন্দম ভট্টাচার্য। ২০১৭ সালেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এরপর তৃণমূলের সঙ্গেও ঘর করেন কয়েকবছর। পরবর্তী সময় ২০২১-এর নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দেন অরিন্দম। যদিও এই নির্বাচনে অবশ্য অরিন্দমকে শান্তিপুরের প্রার্থী করেনি বিজেপি। বদলে তাঁকে জগদ্দলের টিকিট দিয়েছে দল। অন্যদিকে শান্তিপুরের প্রার্থী করা হয়েছে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে (Jagannath Sarkar)। ২০১৯ সালে রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে জেতেন জগন্নাথবাবু। নির্বাচনের বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলেও তৃণমূল সহ অন্যান্য প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন তিনি। এবার তাই শান্তিপুর আসন জয়ের জন্য সেই জগন্নাথের ওপরেই ভরসা রেখেছে বিজেপি। অন্যদিকে শান্তিপুরে অজয় দে-কেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এদিকে আবার ওই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের ঋজু ঘোষাল। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কার ওপরে ভরসা রাখেন শান্তিপুরবাসী।