Advertisement

'হিম্মত থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে লড়ুক', বিরোধীদের খোলা চ্যালেঞ্জ অনুব্রতর

"নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাঁড়াবেন। যাঁর হিম্মত থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে লড়াই করুক।" সোমবার পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে এক সভায় এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এটা কি শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? জবাবে অনুব্রত বলেন, "কেন একজন ব্যক্তির নাম বলে তাঁকে বড় করা হচ্ছে? কর্মীই শেষ কথা।"

অনুব্রত মণ্ডল
সুজাতা মেহরা
  • পূর্ব বর্ধমান,
  • 18 Jan 2021,
  • अपडेटेड 10:10 PM IST
  • আউসগ্রামে ফের নিজস্ব মেজাকে অনুব্রত
  • কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীকে
  • বৈশাখীর উদ্দেশ্যে 'কুরুচিকর' মন্তব্য

"নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাঁড়াবেন। যাঁর হিম্মত থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে লড়াই করুক।" সোমবার পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে এক সভায় এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এটা কি শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? জবাবে অনুব্রত বলেন, "কেন একজন ব্যক্তির নাম বলে তাঁকে বড় করা হচ্ছে? কর্মীই শেষ কথা।" এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "আমি অনুব্রত মণ্ডল, ডাকনাম কেষ্ট। আমি দল থেকে গেলে আমার ১৪টা আসন তুলতে পারবো না। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবে সেই তুলতে পারবে।"

এদিনই নন্দীগ্রামের সভায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সেখান থেকে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন,"আমি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালে কেমন হয়। এটা আমার ভালবাসার জায়গা। আমি হয়ত ভোটের সময় বেশি টাইম দিতে পারব না। কারণ ২৯৪টা আসনই আমায় দেখতে হয়। পরে যা কাজ করার আমি সব করে দেব।  আমার বিবেক আমায় বলছে নন্দীগ্রাম থেকে ঘোষণাটা করা হোক। এটাই আমার লাকি জায়গা। এটা সবথেকে পবিত্র জায়গা।" তবে ভবানীপুরকে যে তিনি অবহেলা করছেন না সেকথাও জানিয়ে দেন মমতা। এমনকি নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুর দুই জায়গা থেকেই দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। এদিন ভবানীপুরকে 'বড় বোন' এবং নন্দীগ্রামকে 'মেজো বোন' বলে আখ্যা দেন তৃণমূল নেত্রী।

অন্যদিকে এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেও 'কুরুচিকর' মন্তব্য করতে শোনা যায় অনুব্রতকে। "তৃণমূলে যারা থাকে তারা মুখোশধারী", বৈশাখীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে প্রথমে কার্যত তাঁকে চিনতেই অস্বীকার করেন অনুব্রত। এরপর তাঁকে 'শোভন - বৈশাখী' বলা হলে অনুব্রত বলেন, "মেয়েরা তো বারবার লোক চেঞ্জ করে না। মা বাবা যাঁকে ধরে দেয় তাঁকে ধরেই থাকে। কিন্ত এ তো আজকে এই হাত ধরছে কালকে ওই হাত ধরছে। হাত ধরার শেষ নেই। হাতটা কম ধরতে বলো।" 

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement