"বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) নির্বাচনে হেরে মুখ্যমন্ত্রীত্ব হারাতে হবে", সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এদিন অর্জুন বলেন, "আমি আগেই বলেছিলাম যে দিদিমণি ভবানীপুরে দাঁড়াবেন না, কারণ ভবানীপুরে দাঁড়ালে উনি হারবেন। তখন আমি তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম ওনার ভাটপাড়ার প্রতি অনেক প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে, উনি ভাটপাড়ায় দাঁড়াতে পারেন। এবার উনি নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন। এর অর্থ ওনার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। সেই জন্যই নন্দীগ্রামকে বেছে নিয়েছেন। নন্দীগ্রামে দাঁড়ালেও তিনি অনেক ভোটে হারবেন।" এর পরেই অর্জুন বলেন, "নির্বাচনে হেরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীত্ব খোয়াতে হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ঠিক সেভাবেই মুখ্যমন্ত্রীত্ব খোয়াতে হবে।"
এদিন নন্দীগ্রামের সভায় বক্তব্য রাখআর সময় সেখান থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আমি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালে কেমন হয়। এটা আমার ভালবাসার জায়গা। আমি হয়ত ভোটের সময় বেশি টাইম দিতে পারব না। কারণ ২৯৪টা আসনই আমায় দেখতে হয়। পরে যা কাজ করার আমি সব করে দেব। আমার বিবেক আমায় বলছে নন্দীগ্রাম থেকে ঘোষণাটা করা হোক। এটাই আমার লাকি জায়গা। এটা সবথেকে পবিত্র জায়গা।" তবে ভবানীপুরকে যে তিনি অবহেলা করছেন না সেকথাও জানিয়ে দেন মমতা। এমনকি নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুর দুই জায়গা থেকেই দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। এদিন ভবানীপুরকে 'বড় বোন' এবং নন্দীগ্রামকে 'মেজো বোন' বলে আখ্যা দেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিকে এদিনই মমতার খাস তালুক দক্ষিণ কলকাতায় দাঁড়িয়ে পালটা তাঁকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "নন্দীগ্রামে যদি মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারি তবে রাজনীতি ছেড়ে দেব।" সেক্ষেত্রে এবারের নির্বাচনেও যে নন্দীগ্রাম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।