নির্বাচন শুরুর আগে থেকেই জারি রয়েছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পালা। সেই তালিকায় প্রথমের দিকেই রয়েছে হাওড়া (Howrah) জেলার নাম। নির্বাচন ঘোষণার মাস খানেক আগেই তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন চক্রবর্তী, বৈশালী ডালমিয়ার মত জেলার প্রথম সারির নেতানেত্রীরা। বিজেপিতে গিয়ে পুরনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন তাঁরা। যদিও হাওড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য রাজীবদের দলত্যাগ নিয়ে একেবারেই বিচলিত নন। অন্তত প্রকাশ্যে তেমনটাই দাবি তাঁদের। উলটে হাওড়ার সবকটি আসনেই জয়ের দাবি জেলা তৃণমূলের। এই বিষয়ে আজতক বাংলার সঙ্গে কথা বললেন হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা মধ্য হাওড়ার প্রার্থী অরূপ রায় (Arup Roy)।
আজতক বাংলা - নির্বাচনের আগেই হাওড়া তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন, অনেকেই দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন, সামাল দিচ্ছেন কী করে?
অরূপ রায় - "কে বলেছে ভাঙন? কিচ্ছু ভাঙন হয়নি। পাপ বিদায় হয়েছে। তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। কিছু ধান্দাবাজ লোক এসেছিল। জানে দল আর টিকিট দেবে না। ধান্দা ফুয়িয়েছে, তাই চলে গিয়েছে। একটাও কর্মী গিয়েছে? লাখো লাখো কর্মী যাঁরা ২০১১ ও ২০১৬ সালে তৃণমূলকে জিতিয়েছেন, তাঁরাই ২০২১ সালেও জেতাবেন।"
আপনি নিজেও প্রার্থী, প্রচারে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
"খুব ভালই সাড়া পাচ্ছি। হাওড়ার সবকটা আসনেই আমরা জিতব।"
গত ৫ বছরে এমন কোন কাজ করেছেন, যার জন্য মানুষ আপনাকে ফের ভোট দেবে?
"মানুষের সঙ্গে ছিলাম, গত ১০ বছর মানুষের সঙ্গে আছি। মানুষের সব কাজ করেছি। আমার কাছে এলে কেউ ফিরে যান না। যেসব কাজ তাঁরা কোনওদিন প্রত্যাশাও করেননি, তাও করে দিয়েছি। মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছি, তাঁদের কষ্ট কান্না হাহাকার দূর করেছি। কাজ যাঁরা করেন, তাঁরা বলেন না। যাঁরা করেন না, তাঁরাই বলেন।"
জিতলে প্রথমেই কোন কাজে হাত দেবেন?
"আমি আগে দুবার জিতেছি। একটা বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের কাজ ৮০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। ২০ শতাংশ বাকি আছে। সেই কাজ করব। মানুষের প্রতিদিনের পরিষেবা দিয়ে যাব।"
প্রচার কি কোভিড বিধি মেনে করছেন?
"আমরা মানুষকে সাবধানে থাকার কথা বলছি, হাত ধুয়ে খাওয়াদাওয়া করার কথা বলছি এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।"
ভোটের ফলাফল কেমন আশা করছেন?
"জেলার সমস্ত আসনেই আমরা জিতব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবেন।"