এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) বিরুদ্ধে ব্যানার আসানসোলে (Asansol)। 'আসানসোল বাঁচাও জিতেন্দ্র তিওয়ারি হঠাও' লেখা ব্যানার দেখা গেল শহরের একাধিক জায়গায়। শনিবার আসানসোলের বার্নপুর (Burnpur) স্টেশন রোড এবং ত্রিবেনী মোড় সংলগ্ন এলাকায় এই ধরনের ২টি ব্যানার দেখা যায়। যার জেরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
এদিকে এই ব্যানারকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ব্যানারের নিচে লেখা 'ভারতীয় জনতা পার্টি কর্মীবৃন্দ'। যদিও বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, "এটা বিজেপির কাজ নয়।" তৃণমূলের লোকজনই এই কাজ করেছে বলে পালটা দাবি তাঁর। যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, "বিজেপির নামে ব্যানার পড়েছে, তাহলে তৃণমূলের নাম করা হচ্ছে কেন?" তৃনমৃল এই ধরনের কাজ করে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তাপসবাবু।
প্রসঙ্গত আসানসোলকে স্মার্ট সিটি তৈরির করার জন্য কেন্দ্রীয় অনুদানের বিষয়ে সম্প্রতি রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রীকে এক চিঠি দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ পালটা অভিযোগের মাঝেই বৃহস্পতিবার আসানসোলের পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র। তারপরেই ভাঙচুর হয় তাঁর কার্যালয়ে। যার জেরে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। জিতেন্দ্রর এই ঘোষণার পরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা আসানসোল জুড়ে। তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন আসানসোলের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর পোস্টার ও ব্যানার। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় তাঁর নিরাপত্তা। অন্যদিকে আবার এই সময়ের মধ্যেই পদত্যাগ করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতাও। যদিও শুক্রবার জিতেন্দ্র জানান তিনি তৃণমূলেই আছেন। জিতেন্দ্র বলেন, "তৃণমূলেই আছি, কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, মিটে গেছে। দল ছাড়ার কথা বলা ভুল হয়েছিল।" তবে বিজেপিতে যাওয়ার কথা যে তিনি কখনও বলেননি তাও সাফ জানিয়েদেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।