শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর আগামী ৭ জানুয়ারি প্রথমবার নন্দীগ্রামে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই শোনা যাচ্ছিল বিভিন্ন সূত্রে। তবে শেষপর্যন্ত তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে ৭ জানুয়ারি শহিদ দিবসের উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি বাতিল হলেও সেদিন কর্মিসভা হবে নন্দীগ্রামে। এদিকে ৭ জানুয়ারি মমতার সভার পর পাল্টা ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই তৃণমূলনেত্রীর সভা বাতিল হতেই ময়দানে নেমে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিদিমণি ভয় পেয়েছেন, তাই তিনি আর নন্দীগ্রামে যেতে চান না, সোমবার এমন মন্তব্যই করতে শোনা যায় দিলীপ ঘোষকে। বিজেপি রাজ্যসভাপতি বলেন, নন্দীগ্রামের ইতিহাস শেষ হয়ে গিয়েছে, মানুষকে আর এই দিয়ে বেশিদিন বোকা বানিয়ে রাখা যাবে না।
৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীরর বদলে সুব্রত বক্সি নন্দীগ্রামে যাবেন বসে ঠিক হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন, তাই নন্দীগ্রাম যাবেন না। ওখানে গেলে তাঁকে হাজার প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। যে নন্দীগ্রামকে ভাঙিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে সেখানে কী করেছেন! নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে আর খাওয়া যাবে না। ওখানে গেলেই সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করবে। এটা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন ভালভাবে।'' দিলীপের কটাক্ষা ওঁরা ভাবছে মানুষ বোকা, কিন্তু বাংলার মানুষের নজরে সবটাই চোখে পড়ছে।
এদিন তৃণমূলনেত্রীর পাশাপাশি 'ভাইপো'কে নিয়েও সরব হতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ ভাল ভাবেই 'ভাইপো'কে চিনে গিয়েছে। তার নাম যথাযথ জায়গায় চলে গিয়েছে এবং খুব শীঘ্রই সেখান থেকে ডাক পাবেন 'ভাইপো'। সুদীপ সেনের চিঠি নিয়েও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ। রাজনীতি যদি চিঠির ওপরেই নির্ভরশীল হয় তাহলে কুণাল ঘোষের চিঠি নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেন দিলীপ। দিন কয়েক আগেই কিষাণ সম্মান নিধি চালু না করা নিয়ে মমতা সরকারের দিকে তোপ দেগেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এনিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষও তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন। আয়ুষ্মান ভারতে রাজ্যে চালু না করা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন।