তখন দেশে লকডাউন চলছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেটা ২০২০ সালের মার্চ মাস। কী করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, সে ব্য়াপারে নাজেহাল দেশে-বিদেশের বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে চিকিৎসকেরা।
আর এর মাঝে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা। সে সময় অত্যন্ত দরকারি হয়ে পড়েছিল পিপিই কিট। অর্থাৎ, পার্সোনাল প্রোটিকটিভ ইকুইপমেন্ট কিট। সেগুলি ব্যবহার করলে সংক্রমণ কমানো যেতে পারে বলে মত ছিল বিশেষজ্ঞদের।
তবে অভিযোগ উঠেছিল, রাজ্যে প্রয়োজনীয় পিপিই কিট নেই। আর এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স-সহ করোনা মোকাবিলায় সব অংশের মানুষ। আরও অভিযোগ উঠেছিল, পিপিই কিটের নামে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য়কর্মীদের দিচ্ছে রেনকোট।
এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন এক চিকিৎসক। তাঁর নাম ইন্দ্রনীল খান। এ ব্য়াপারে বেশ কিছু ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তিনি। তারপর তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো পোস্ট করার অভিযোগ উঠে।
আর সেই ঘটনার জেরে তাঁকে মহেশতলায় পুলিশ সাড়ে ১৭ ঘণ্টা টানা জেরা করেছিল বলে অভিযোগ। পরে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সে সব এখন মিটে গিয়েছে।
রবিবার সেই ইন্দ্রনীল খানকে বিজেপি তাদের প্রার্থী করেছে। তিনি লড়বেন কলকাতার কসবা থেকে। এদিন তিনি সেই ঘটনার কথা টেনে অভিযোগ করেন, পিপিই কিটের নাম করে রেনকোট পাঠিয়েছিল। সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা তা ব্যবহার করেছিলেন। এই অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
তাঁর আরও অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছিল। করোনার পরীক্ষা করাচ্ছিল না সরকার। তার থেকে বড় কথা করোনা কথা তো মানতেই চাইছিল না! দিল্লির দাঙ্গা থেকে চোখ ঘোরানোর জন্য এমন করছে বিজেপি। দাবি করছিল রাজ্য।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে সমস্য়ায় পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি জানান, কলকাতা হাইকোর্ট পরে রাজ্যকে তিরস্কার করে। সেই সঙ্গে জানিয়েছিল, সেগুলে ভুয়ো পোস্ট নয়।
সাউথ পয়েন্ট থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক। এরপর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস, এম ডি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। এরপর ফেলোশিপ ইউরোপিয়ান সোসাইটি ফর মেডিক্য়াল অঙ্কোলজি (এসমো) থেকে।
তাঁর বাড়ি কলকাতার বেহালায়। আগে এবিভিপি-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন বিজেপির মুখপত্র। এনআরএসকাণ্ডের প্রতিবাদে যুক্ত ছিলেন তিনি। এদিনি তিনি বলেন, মানুষ যাতে তাঁর প্রাপ্য পান, তা করার চেষ্টা করব। চিকিৎসা মানে জনসেবা। এখন আরও সময় বেশি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের জন্য লড়াই করছি। তাঁর অভিযোগ এখানে চাকরি, শিক্ষা নেই। মানুষ পরিযায়ী হয়ে গিয়েছেন। কারণ শিল্প নেই।