চতুর্থ দফার ভোটেও হিংসা ছড়াল রাজ্যে। রক্তাক্ত হল উত্তরবঙ্গের শীচলকুচি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই ঝড়ল প্রাণ। আর এর মাঝেই চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপরে উঠল হামলার অভিযোগ এদিন চুঁচুড়ার ৬৬ নম্বর বুথে লকেটের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। যাকে ঘিরে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। মোতায়েন করতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
শনিবার সকালে সাড়ে ১০টা নাগাদ চুঁচুড়া বিধানসভার ৬৬ নং বুথে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী লকটে চট্টোপাধ্যায়। লকেট অভিযোগ , ওই বুথে তৃণমূলকর্মীরা ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিলেন। তিনি বাধা দিতেই তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। এমনকী তাঁকে ও তাঁর দলের কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ লকেটের। পরে লকেটের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। হামলায় হাতেও আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী।
হামলার পর কেন্দ্রীয় বাহনীর ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন লকেট। ঘটনার পর বুথে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর দাবিতে কমিশনের পর্যবেক্ষককে ফোন করেন লকেট। সঙ্গে ওই বুথে ফের ভোটগ্রহণের দাবিতে সরব হন তিনি। সাংসদের গাড়ির কাঁচ কীভাবে ভাঙা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন লকেট। লকেটের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ওই পরিস্থিতি থেকে কোনওভাবে উদ্ধার করেন।
তবে এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার লকেটের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ লোকসভা ভোটে হুগলি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন লকেট। সেবার লকেটের ঘরে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালান হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই। গত লোকসভা ভোটের দিন হুগলিতে বিভিন্ন বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পেয়ে সেখানে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে ঘেরাও হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও পরবর্তীতে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের রত্না দে নাগকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েন লকেট। ২০১৬ ভোটে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছিলল লকেটকে। সেবার ভোটে হারলেও প্রিসাইডিং অফিসারকে ধমক দিয়ে শিরোণামে এসেছিলেন লকেট।