বিজেপি বিরোধী হিসেবে গঠনমূলক সমালোচনা করবে। রাজ্যকে উন্নয়নের কাজে সাহায্য করবে। রবিবার এই বার্তা দিয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। দলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন, এই ঘটনা বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন।
এদিন এক ভিডিয়ো-বিবৃতিতে দলের অবস্থান জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানে তিনি বলেন, বিধানসভা ভোটে বাংলার মানুষ যে রায় দিয়েছেন, তা স্বাগত জানাই। সম্মান জানাই। আমরা বিধানসভায় ইতিবাচক বিরোধিতা করব। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকব। মানুষ তা-ই চেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাই। রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। বিজেপির কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। মহিলাদের মারধর করা হচ্ছে। পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আপনার কাছে অনুরোধ করব, এগুলি থামান।
তিনি বলেন, আমরা সক্ষম বিরোধী হিসেবে কাজ করব। উন্নয়নে আপনাকে সাহায্য করব। একবরা ফের আপনাকে, আপনার দলকে শুভেচ্ছা জানাই।
এদিকে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে একুশের নির্বাচনে ২০০ আসন পার করে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বিজেপির কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গে একুশের নির্বাচনে ২০০ আসন পার করে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বিজেপির ভরাডুবি মোটামুটি নিশ্চিত। এহেন সময়ে বিজেপির তরফে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রথম শুভেচ্ছাবার্তাটি পাঠালেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
ট্যুইটারে মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজনাথ সিং লিখেছেন, 'দিদিকে অসংখ্য অভিনন্দন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগামী দফায় আমার আমার শুভেচ্ছা।'
এদিকে, বাংলার 'বাঘিনী'কে শুভেচ্ছা জানালেন বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা। রবিবার বাংলার বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষিত হয়। দুপুর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, সেখানে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আর তারপরই মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানান দেশের বিরোধী দলের নেতারা। টুইটে তাঁরা শুভেচ্ছা জানান। বাংলার মানুষকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছন তাঁরা।
এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শারদ পাওয়ার বলেছেন, আপনার এই জয়ের জন্য শুভেচ্ছা। মানুষের জন্য যে কাজ আমরা করছিলাম এবং করোনা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করছিলাম, চলুন সেই কাজ আমরা করতে থাকি।
এদিন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত টুইট করেন। সেখানে তিনি বলেন, বাংলার 'বাঘিনী'কে শুভেচ্ছা। ও দিদি দিদি ও দিদি। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় ভোট প্রচারে 'দিদি ও দিদি' বলেছিলেন নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়।
মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তিনিও টুইট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির হিংসার রাজনীতিকে হারিয়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল দলকে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন। বিজেপি এক মহিলাকে 'দিদি ও দিদি' বলে কটাক্ষ করেছিল। মানুষ মুখের উপর জবাব দিয়েছেন। 'দিদি জিও দিদি'।