১০০ টার মধ্যে ৯৯ টা মিথ্যা কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এভাবেই জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, বিশ্বভারতীর ওই অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি।
মমতাকে তোপ মুকুলের
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের সাতগাছিয়া বাজারে বিজেপির যোগদান মেলায় এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় বলেন, সিঙ্গুর নিয়ে নতুন ভাবনা নিয়ে নতুন সরকার আসবে। এই ভাবনা আর মমতা দিদিকে ভাবতে হবে না। আর নতুন সরকার নিশ্চিত করে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার হবে বলেও তিনি দাবি করেন । সেইসঙ্গে তিনি বলেন, উনি ভুল বলছেন। মানুষ যখন হেরে যায় একটা কিছু এক্সপ্লেনেশন দিতে হয় তাই বলছেন। মমতা ব্যানার্জী এখন কি বলছেন নিজেই জানেন না। উল্টো পাল্টা কথা বলছেন। বলেন বাংলায় যে নির্বাচন আসছে সেই নির্বাচনে দুই অঙ্কও পার করতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
বিশ্বভারতী নিয়ে রাজনৈতিক তরজা
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর আমন্ত্রণ বিতর্ক নিয়ে বিজেপি বনাম তৃণমূল তরজা তুঙ্গে। গতকাল বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের তরফে দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি চলতি মাসের ৪ তারিখ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইট করে জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে ৪ তারিখই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত তাঁর কাছে কবিগুরুর সম্মানের থেকে রাজনীতিটা বড়। এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এতো বড় অপমান করেননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের সংকীর্ণ মানসিকতার জন্য বাংলাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আজকে একশো বছরের উদযাপনে ওরা আমাকে কোনও আমন্ত্রণ জানায়নি, ফোনও করেনি৷ পরেও ব্রাত্য বসুও সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।