মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)-এর তুমুল সমালোচনা করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy)। তাঁর দাবি, বিজেপি (BJP) অন্য রাজনৈতিক দলের সভায় নিজেদের দলের লোক পাঠায় না। কেউ যদি মনে করেন, তাঁদের সভায় বিজেপির সমর্থক রয়েছেন, পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করুক। এদিন কলকাতায় তিনি এই চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
মুকুল রায় দাবি করেন, যেখানে মাওবাদীরা রয়েছেন, সেখানে বিজেপি সরকার রয়েছে। এবং খুব মসৃণ ভাবে সরকারের কাজ পরিচালনা হচ্ছে। আমরা জানি না কংগ্রেস সিপিএম কী করছে। কিন্তু বিজেপি দেশের জন্য একটা উদাহরণ তৈরি করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে সব জায়গায়।
তাঁর অভিযোগ, এ রাজ্যে কোনও শৃঙ্খলা নেই। দলের শীর্ষ নেতা দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবুকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এর সমাধান চাই। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মানুষের প্রতি অবিচার করছেন। গণতন্ত্রে এটা মানা যায় না। লোকসভা ভোটে একটা দল তিনশোর বেশি আসন পেয়েছে, মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, তবে মানুষের প্রতি তৃণমূলের কোনও আস্থা নেই। আর তাই তিনি এ ধরনের মন্তব্য করছেন। এদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন মুকুল রায়। তাঁর দাবি আপনারা দেখেছেন সোমবার দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী যখন যাচ্ছিলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করে যাচ্ছিলেন, কিভাবে তাঁদের ওপর আক্রমণ করা হল। এদিন খেজুরিতেও রাজনৈতিক মিছিলের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ভোট আসছে। তাই রাজ্যপাল, যিনি সাংবিধানিক প্রধান, তাঁকে এ ব্যাপার গুলো জানাতে এসেছি।
পুরুলিয়ার সভা চলাকালীনই মাঝপথে মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় উপস্থিত কয়েকজনকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার সভায় ইচ্ছাকৃত ভাবে সমস্যা করার জন্য বিজেপি লোক পাঠাচ্ছে। আমার সভায় বিরক্ত করলে আমিও বিজেপির মিটিংয়ে লোক পাঠিয়ে দেব, সিপিএমের মিটিংয়ে লোক পাঠিয়ে দেবো। এক হাতে তালি বাজে না। পরে অবশ্য তাদের কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
এদিন একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, বিজেপি শুধু মিথ্যা কথা বলে, ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ওরা বিদায় হয়েছে। বিহারে নীতিশ কুমারের সরকার। ওড়িশায় ওরা নেই। বাংলায় যা আছে সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে ওরা দেখাচ্ছে। বিজেপি ফেক ভিডিও তৈরি করে ছাড়ে। সব জোচ্চুরি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছে বেনামি। সেই সব গ্রুপে কোনও কথাই বিশ্বাস করবেন না। বিজেপি এলে পুরুলিয়া থাকবে না। মাওবাদীদের থেকে বিজেপি ভয়ঙ্কর। মাওবাদীরা আত্মসর্মপণ করে মূলস্ত্রোতে ফিরে এসেছে। আমি আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের জন্য হোমগার্ডের চাকরির ব্যবস্থা করছি। আমরা বিনা পয়সা সবাইকে রেশন দিই। জুন মাসে আমাদের সরকার আসলে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে। অনেকে চাকরি পেয়েছেন। ওরা বিরসা মুণ্ডাকে অপমান করেছেন। একজনের ছবিতে মালা দিলেন। এখানে কানহু মুর্মুর মূর্তি ভেঙে দিয়েছিল বিজেপি।