Advertisement

লাল ঝান্ডা নিয়ে মিছিল করুন, ভোট দিন পদ্মে, বামেদের আহ্বান শুভেন্দুর

বামফ্রন্ট (Left Front)-এর ভাল দিকে খুঁজে পেলেন বিজেপি (BJP)-র শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)! ভোটে জিততে বামপন্থীদের কাছে তাঁর আর্জি, মিছিল করুন লাল ঝান্ডা নিয়ে। আর ভোট দিন বিজেপিকে।

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়
শাজাহান আলী
  • চন্দ্রকোনা,
  • 16 Jan 2021,
  • अपडेटेड 8:17 PM IST
  • বামেদের ভাল দিকে খুঁজে পেলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী
  • ভোটে জিততে বামপন্থীদের কাছে তাঁর আর্জি, মিছিল করুন লাল ঝান্ডা নিয়ে
  • আর ভোট দিন বিজেপিকে

বামফ্রন্ট (Left Front)-এর ভাল দিকে খুঁজে পেলেন বিজেপি (BJP)-র শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)! ভোটে জিততে বামপন্থীদের কাছে তাঁর আর্জি, মিছিল করুন লাল ঝান্ডা নিয়ে। আর ভোট দিন বিজেপিকে।

চন্দ্রকোনায় সভায় তিনি তো বটেই বামপন্থীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পদ্মফুলে ভোট দিতে আহ্বান জানালেন দলের আর এক নেত্রী ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh)-ও।

পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur)-এর চন্দ্রকোনা (Chandrakona)-য় সমাবেশ করলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী ৷ এদিন চন্দ্রকোনার খেজুরডাঙ্গা মাঠে সমাবেশ করেলেন তাঁরা ৷ সমাবেশ মঞ্চে স্থানীয় বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে ৷ সভামঞ্চ থেকে দুই নেতারই কটাক্ষবাণে ছিলেন নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৷ বহিরাগত ইস্যুতে এদিন কে ডি সিং বিষয়কে সামনে আনলেন নেত্রী ভারতী ঘোষ ৷ অন্যদিকে বাম নেতাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের বিজেপিতে ভোট দিতে আহ্বান জানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷  

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয় লাভ করার পর, তৃণমূলের বেশিরভাগ দলীয় কার্যালয়ে তালা পড়ে গিয়েছিল। সেদিন কিন্তু এই তোলাবাজ ভাইপোকে কেউ দেখতে পাননি আপনারা। সেদিন এই শুভেন্দু অধিকারী এসে ঘুরে ঘুরে তৃণমূলের লোকজনকে বলেছিলাম, দরজা খুলে বসো আমি রয়েছি।

তাঁর দাবি, দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ কেউ হযন তা হল এই টি এম সি কোম্পানি ও তার নেত্রী। এরা সব সময় মানুষকে ব্যবহার করেছে। উনি এখন অনেক বড় বড় কথা বলছেন, ওনাকে তৈরি করেছিল রাজীব গান্ধী। আর আশ্রয় দিয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী।

তিনি বলেন, বামফ্রন্টের ভাল নীতি, ভুল নীতি সবরকম রয়েছে। পঞ্চায়েত বামফ্রন্ট করেছে, ভূমি সংস্কার আইন করেছে। কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আবার এটাও নিশ্চিত ভাবে নেতাইয়ের গণহত্যা, নন্দীগ্রামের গণহত্যা, বেনাচাপড়া কঙ্কালকান্ড বা ছোট আঙারিয়া গণহত্যা সমর্থনযোগ্য নয়।

Advertisement

এদিন তিনি বলেন, আমরা বামনেতা সুকুমার সেনগুপ্ত, গীতা মুখার্জি, বিশ্বনাথ মুখার্জিকে প্রণাম, শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমরা লক্ষ্মণ শেঠ দের কখনই শ্রদ্ধা করি না। কখনই তাদের সমর্থন করি না। বামপন্থী বন্ধুদের বলব, লাল পতাকা নিয়ে মিছিলে যাচ্ছেন, ভোট পদ্মফুলে দিতে হবে ভাই। না হলে ২০২৩-এ পঞ্চায়েত নির্বাচনে নমিনেশন দিতে পারবেন না।

তাঁর পুরনো দলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, তৃণমূলনেত্রীর একটা সভা মনে দুকোটি টাকা খরচ। টেন্ডার ছাড়া জেনেসিস, মডার্ণ ডেকোরেটর স্থান পায়। ২ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে দিয়েছেন এইসব করে। প্রশাসনিক সভার নামে বক্তৃতা করা প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করা ,আর নাড্ডাজী কে বিভিন্নভাবে খারাপ মন্তব্য করতে গিয়ে। ভেতরে ছিলাম আমি, এত বড় ঢপবাজ , ফোর টুয়েন্টি, ফেরেব্বাজ , মিথ্যাবাদী সরকার আর দেখিনি।"

সভায় বক্তব্য রাখেন ভারতী ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "খোকাবাবু এবং খোকাবাবুর দল দুটোই এখন চিন্তায় ঘুমোতে পারে না। তাদের সব সময় চিন্তা- কে দল ছাড়ল? আর কে ধরা পড়ল? আমরা শুনেছি  কে ডি সিং ধরা পড়েছেন। এই ব্যক্তি একজন বহিরাগত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায়। যাকে ডেকে এনে রসগোল্লা খাইয়ে অ্যালকেমিস্টের টাকাগুলো নিয়ে তাকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলেন নেত্রী।

তাঁর কথায়, আর আমরা কলকাতা থেকে এলে বহিরাগত হয়ে যাই। দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা এলে বহিরাগত হয়ে যাযন। আর কে ডি সিং এসে অ্যালকেমিস্টের টাকা নেত্রীর পার্টি ফান্ডে শত কোটি টাকা দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন।"

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement