মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee) অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরামর্শেই ভোটের দিন স্থির করা হয়েছে। তাঁকে পাল্টা নিশানা করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (BJP MP Arjun Singh)।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচনে নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। তামিলনাড়ু, কেরলা, পদুচেরিতে এক দফায় নির্বাচন হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা হবে মোট ৮ দফায়।
এর পরই কমিশন সহ বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি বলেন, "ওঁর (মমতার) তো লজ্জা হওয়া উচিত, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ওঁর পদত্যাগ করা উচিত। কেন না ভারতের মানুষ জানেন এখানে ভোট লুট হয়। আর সেই কারণেই ৮ দফায় নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে।"
অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, "নির্বাচন কমিশন কারও কথায় চলে না, ওরা পুরো রিপোর্ট নিয়ে এই কাজ করে। গত নির্বাচনে কিভাবে কমিশনের লোকেদের ওপরে হামলা হয়েছে, মানুষকে খুন করা হয়েছে, ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, মায়ের সামনে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এসব পুরো জেনে-বুঝেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
তৃণমূলের সরকারকে কটাক্ষ করে অর্জুন সিং বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকার যেখানে সব কাজ করেই ফেলেছেন, রাজ্যর মানুষ যেখানে ওকে ভোট দেবেন বলে স্থিরই করে ফেলেছেন, সেখানে ৮ দফা হোক বা ১৬ দফা হোক তাতে ওনার কি যায় আসে।"
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)-এর মত, "মমতা ব্যানার্জি ওনার সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে যে রকম নোংরামি করে, মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের কিছু সরকারি আমলা কে যেভাবে চাকর বানিয়ে রেখেছেন, তিনি অন্যদেরকেও ঠিক এরকম ভাবেন।
অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, তার জানা উচিত যে ভারত সংবিধান মেনে চলে। প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের নেতারা সংবিধান অনুযায়ী চলেন। মমতার মত সবাই নিজেদের সম্পত্তি বলে মনে করেন না।
শুক্রবার রাতে ফুলবাগানের থানার কাদাপারা এলাকায় বিজেপির জনসংযোগ প্রচারের গাড়ির ওপরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অর্জুন সিং (Arjun Singh) জানান, এ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ যে উনি প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যে কেন ৮ দফায় নির্বাচন হচ্ছে। অথচ আমাদের প্রচার গাড়ি ওপর হামলা হচ্ছে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এরপরও কি ওঁর লজ্জা হচ্ছে না।